শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

দেশজুড়ে নাশকতার ছক আওয়ামী লীগের- ওয়াসিম সিদ্দিকী

নিউজ ডেস্কঃ  / ১০ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

নিউজ ডেস্কঃ

আমার দেশ গ্রাফিক্স,
আওয়ামী শোকের মাস আগস্টে দেশবাসীকে কাঁদাতে চায় ফ্যাসিবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে তৈরি করা হচ্ছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। বিভিন্ন দেশে পলাতক মুজিববাদী নেতাকর্মী এবং আমলা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের দিয়ে আঁটা হচ্ছে কূটকৌশল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারতে বসে এ নীলনকশা প্রস্তুত করছেন শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। সেদিন দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে কর্মশালার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ধরে সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।

আওয়ামী লীগ আগস্টকে আবেগের অস্ত্র বানাতে চায় জানিয়ে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এ মাসকে ঘিরে নেতাকর্মীদের নতুন করে শোকের আবহে সংঘবদ্ধ করতে চায় ফ্যাসিবাদী দলটি। ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে হানতে চায় চূড়ান্ত আঘাত।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের শহীদদের স্মরণে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গতকাল লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভা

প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব‍্যর্থ করার জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখায় চব্বিশের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী ও ‘ডাই হার্ট’ আওয়ামী লীগারদের বাছাই করা হয়েছে, যারা দলের জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ভারতে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সপ্তাহ দুই আগ থেকে বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে এয়ার টিকিট। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন। সেখানে বাছাইকৃত নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এবং জেলার জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাশকতার বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগের ভাষায় আন্দোলন) তদারক করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক আছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করেছেন এবং বাছাইকৃতদের দেশে ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুনঃ কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতা মনির হোসেন মিনুর রুহের মাগফেরাতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সব সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। তিনিও হাসিনার সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত জেনারেল মুজিব। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালান। মুজিব ছাড়াও পলাতক একাধিক জেনারেল নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এসবি মনিরুল দেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য দিল্লিতে একটি কার্যালয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ‘র’-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। নাশকতার সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন জেনারেল মুজিব ও এসবি মনিরুল।

পাশাপাশি দেশে অবস্থান করা কয়েক সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষিত কর্মীদের কাজ হবে নির্দেশনা অনুযায়ী ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে কাজ করা। এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এতে নানাভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফাঁস হওয়া একটি অডিওবার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ১৬ বছরে অনেক অফিসার ও অধস্তন ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরাই সময়মতো আওয়ামী লীগের পক্ষে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দেবে।

আরও পড়ুনঃ প্রাইভেট কার যোগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ এসে অটোরিকশা চুরির সংঘবদ্ধ প্রতারক ও চোরচক্রের প্রধানসহ আটক ০৪

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে আরো জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্থাপনায় নাশকতাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কৌশলে অভ্যুত্থানপন্থি দলগুলোর কিছু কর্মীকে ভাড়া করে নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের আগেই ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে পুলিশের দুর্বল অবস্থার সুযোগে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদেরই প্রথম টার্গেট করা হতে পারে, যাতে পুলিশ আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয় থাকে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তিদের আঘাত করা, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে আলোড়ন তৈরি হয়। বাছাইকৃত কর্মীদের যোগাযোগের জন্য প্রচলিত মাধ্যম এড়িয়ে অপরিচিত আলাদা অ্যাপ চালু, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে প্রশিক্ষিত দল।

এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়কদের প্রয়োজনে তাদের কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে ভারত থেকে অর্থ আসছে। এছাড়া দেশে অবস্থান করা তুলনামূলক কম বিতর্কিত নেতাদের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানকে বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

আওয়ামী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এনজিওর প্রশিক্ষণের নামে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন আধুনিক কৌশল শেখানো হয়। গুজব ছড়ানোর নানা উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।

নাশকতার ছকের অংশ হিসেবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আওয়ামী ক্যাডারদের। সর্বশেষ ২২ জুলাই সচিবালয়ে আক্রমণের ঘটনায় ললপগ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অভিষেক সিকদারসহ চারজনের অনলাইন যোগাযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশনায় ২২ জুলাই সচিবালয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি শাহবাগ দখল করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার শাকিলও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগে জড়িত।

আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category