শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতার নগরী : লাখো মানুষ পানিবন্দি খাল দখলেই চরম দুর্ভোগ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ  / ৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

পানি নিষ্কাশনের ব্যর্থতায় রূপগঞ্জে লাখো মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। বানিয়াদি এলাকায় স্থাপিত অগ্রণী সেচ প্রকল্পের মেশিন চালু করা যাচ্ছে না ফোর ফর্টি লাইন না থাকায়।

মেশিন অপারেটর জানান, “পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইন ঠিক করার খবর পেলেই মেশিন চালু হবে। লাইন ঠিক থাকলে অল্প সময়েই পানি নামানো সম্ভব।”
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সাওঘাট অফিসের ডিজিএমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে ইঞ্জিনিয়ার আলতাফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি দেখছি।”

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, অপরিকল্পিত সেচ প্রকল্প, খাল দখল ও ভরাটের কারণেই জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে—তারাবো, কর্ণগোপ গন্ধবপুর বরপা, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, আমলাবো, বলাইখা, বিজয়নগরসহ প্রায় ৩০টির বেশি গ্রাম ও পাড়া-মহল্লা পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি ঢুকে পড়েছে ঘরে ঘরে।

বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র, গবাদি পশু সরিয়ে নেওয়া ও বাঁশের মাচায় বসবাস যেন নিত্যচিত্র হয়ে উঠেছে। শিল্পকারখানাও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত। দুর্গন্ধযুক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত পানিতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

আরও পড়ুনঃ নোয়াখালীর সেনবাগে খালের উপর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান

১৯৮৪ সালে ৯০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অগ্রণী সেচ প্রকল্প-১’ এবং ১৯৯৩ সালে আরও ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমি রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কিছু বছরের মধ্যেই শুরু হয় জলাবদ্ধতা। পরবর্তীতে প্রকল্প এলাকায় মিল-কারখানা গড়ে ওঠে, ফলে বসতি ও শিল্পায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জলাবদ্ধতাও বেড়ে যায়।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত ১১ মাসে ৮টি খাল পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। খাল খনন ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। আশা করছি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা কিছুটা কমে আসবে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক রাকিবুল আলম রাজিব জানান, “তারাবো পৌরসভার অধিকাংশ খাল শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলে। পানি বের হতে না পারায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। খাল উদ্ধার করে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category