চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়ন যুবদল নেতা মুহাম্মদ ইসমাইল ৫ই আগষ্ট পরবর্তী বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করে যাচ্ছে। এসব মামলা থেকে রেহাই পেতে কেউ কেউ দর কষাকষি করছে ইসমাঈলের সাথে।
৫ই আগষ্টের আগের দিন ইসমাইলেের বাড়িতে হামলার অভিযোগে প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিদের নামে সন্ত্রাস ও ভাংচুর আইনে মামলা করে ইসমাইল। দেখা যায় এসব মামলায় অনেক নিরীহ মানুষকেও পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে মামলা তালিকায় রাখতে এবং অনেককে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে পরবর্তীতে বাদ দিতে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অনেকের কাছ থেকে জানা যায় ইসমাঈল প্রায় ৫০ এর ওপর লোকজন ও আওয়ামী নেতাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে সম্প্রতি। বিনিময়ে মামলা থেকে বাদ।
কিছুদিন আগে রাশেদ চৌধুরী নামে এক আওয়ামিলীগ নেতা থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয় মামলা থেকে নাম বাদ দিতে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এইতো কয়দিন আগে পুরানগড়ের সবচেয়ে বড় ডেবিল ও মাদকসম্রাট শাহনেওয়াজকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুনঃ গজারিয়ায় ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই নারী মাদককারবারি আটক
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে শাহনেওয়াজ রাতের বেলা গ্রেপ্তার হলে ইসমাইলকে ফোন দেয় শাহনেওয়াজের দলীয় নেতাকর্মীরা। ১লাখ টাকা চাঁদার বিনিময়ে সে পুলিশের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শাহনেওয়াজ কে ছাড়িয়ে নেয় থানায় না নেয়ার আগেই।
এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইসমাইলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সে নিজ দলের নেতাকর্মীদের পর্যন্ত হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সিনিয়র নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন ইসমাইলের কর্মকান্ডের কারনে পুরানগড় ইউনিয়নে বিএনপি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
তার ব্যাপারে উদ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে এবং অতিশীঘ্রই তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলতেছে। এসময় তারা বলেন সে যেকোন মূহুর্তে দল থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবে।