রংপুরে মানবাধিকারের ছায়ায় সক্রিয় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক নেত্রী? রহস্যময় নারী নেত্রীর গোপন কর্মকাণ্ডে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে
রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর ২৭ নং ওয়ার্ড ও রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর গোপন তৎপরতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
মানবাধিকারের আড়ালে পরিচালিত এই তৎপরতায় নারী নেত্রী আমিনা বেগম রিপা সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে ওই নারী নেত্রী আমিনা বেগম রিপা এবং মানবাধিকারের মুখোশ পড়া সাবেক আওয়ামী লীগ এর শাসনামলের এম পি ইলিয়াস মোল্লার কর্মী মো: মঈনুল ইসলাম
প্রথমে ঢাকায় আসেন এবং নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংগঠন আওয়ামী লীগ এর ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
২৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক বৈঠক, আলোচনাসভা ও ঝটিকা মিছিলের মতো ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মানবাধিকারের নামে সংগঠিত এসব বৈঠকে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পুনরুত্থান পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পরবর্তীতে ওই নেত্রী হঠাৎ রংপুরে ফিরে যান এবং কিছুদিন পর আবার ১৯ অক্টোবর ঢাকায় আসেন।
এরপর পুরানা পল্টন ও শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে গোপন বৈঠকের খবর পাওয়া যায়।
২০ অক্টোবর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে একাধিক রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে অনানুষ্ঠানিক সূত্র জানিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে রংপুরের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করলে ঘটনাটি আরও আলোচনায় আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে রাজনৈতিক যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
তবে এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রংপুরের সচেতন মহল বলছে, মানবাধিকারের নামে যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, তবে সেটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
স্থানীয় নাগরিকরা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের পুরনো সদস্যরা মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠনের ছায়ায় সক্রিয় হয়ে উঠছে — যা ভবিষ্যতে সামাজিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।