এম এ রউফ কাতারঃ
মূখে মধূ ও অন্তরে বিষ। ৫৬ বছর ধরে চলছে চলমান লূট পাটের কাহিনি
এই জাতি এদের কাছ হতে কিছু ই পাবে না।
দেশ পরিবর্তন করতে চান??
সবকিছুর বারটা বাজিয়ে দিচ্ছেন ! এই যে পাথর খেলেন আপনারা ! হজম হবে ?
আরে খাওয়ার তো দিন আসবে , রাজনীতি তো খাওয়ার জন্যই করে সবাই ! দল বেঁধে খাবেন !
ধরেন, গ্রামের এক বিয়ের অনুষ্ঠান। রান্না চলছে জোর কদমে—পাতিলে মাংস ফুটছে, গন্ধে পাড়া মাথা। কিন্তু আপনি বিয়ের নায়কের মতো এগিয়ে গিয়ে চামচ ঢুকিয়ে দিলেন, রান্না শেষ হওয়ার আগেই একটু চেখে দেখলেন। ব্যস! এখানেই আপনার সর্বনাশ। লোকজন শুধু আপনার খাওয়াটা দেখবে না, মনে রাখবে, ফেসবুকে লিখবে, আর দরকার হলে কবিতা বানিয়ে দেবে।
কিন্তু রান্না হয়ে গেলে? তখন সবাই আপনাকে বসিয়ে খাওয়াবে, কেউ বলবে “আরে ভাই, আরেকটু নেন না!” এমনকি দুই প্লেট খেলে কেউ কিচ্ছু বলবে না। কারণ তখন সবার মন মাংসে, আপনাতে না।
এবার আসি মসজিদের মিলাদে। জিলাপি তৈরি হয়ে গেছে, গরম গরম—কিন্তু মিলাদ শুরু হওয়ার আগে আপনি যদি চুপিচুপি একটা তুলে নেন, তাহলে আপনাকে দরজার দিকে হাঁটিয়ে দেওয়া হবে। ইমাম সাহেব খেলে কেউ কিছু বলবে না, অথচ উনারও নিয়ম আছে—শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুখে কিছু তোলেন না। মিলাদ শেষ হলে কী হয়? তখন মানুষ নিজের জিলাপি সামলাতে এমন ব্যস্ত যে কে কয়টা খেল তা দেখার সময় নেই। কেউ প্যাকেট বানাচ্ছে, কেউ হাত ধুচ্ছে, কেউ ছোট বাচ্চার জন্য মজুত করছে।
আরও পড়ুনঃ নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানীকে জীবনের এন্ডোসমেন্ট
এখন মজাটা হচ্ছে, রাজনীতিতেও নিয়ম একই। যারা নিশ্চিত ভাবে ক্ষমতায় আসবেন, তাদের এখনই পাতিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই। কারণ এখনই আপনি খান মানে—ওরা ভিডিও করবে, শেয়ার করবে, নিউজ বানাবে। জামাত খাচ্ছে, এনসিপি খাচ্ছে—এসব দিয়ে নিজেকে বাঁচানো যাবে না। যার যার আমলনামা তার নিজের। বড় মানুষের ছোট ভুলও বড় স্ক্যান্ডাল হয়ে যায়।
ইলেকশনের পর কী হবে? তখন সবাই একসাথে খাবে—এমপি, মন্ত্রী, ডিসি, এসপি, সাংবাদিক—প্রশাসন তখন আপনার হাতে, তাই কেউ চামচের শব্দও তুলবে না। তখন আপনি শান্তিতে খেতে পারবেন। কিন্তু এখন? এখন যত মাংস তুলবেন, তত ছবি উঠবে, যত জিলাপি খাবেন, তত ক্যাপশন হবে।
ওরা জানে—আপনাদের ধৈর্য নেই। সময় বাড়লেই আপনারা মাংস খাবেন, পাথর খাবেন, ঘাস খাবেন, প্রয়োজনে মাটি খুঁড়ে খাবেন। আর এগুলো দিয়ে ওরা মার্কেট করবে। আপনাদেরই হাতে আপনারা দল ডুবিয়ে দিচ্ছেন, অথচ মূল ভোজ এখনো শুরুই হয়নি।
বুঝে দেখেন—আপনারা আজ যে চামচ দিচ্ছেন, সেটা কিন্তু ইতিহাসে থেকে যাবে। ফেসবুকের সার্ভারেও, মানুষের মেমোরিতেও। একবার ভাবুন—পাতিলের মাংস খাওয়ার আগেই, খিদে মেটাতে অন্য রাস্তা ছিল না? মাটি কাটতেন, রিকশা চালাতেন, ভিক্ষা করতেন—তবু অন্তত খবরের শিরোনামে “পাতিল কেলেঙ্কারি” হতো না।
আসেন দেশ পরিবর্তন করে দেই রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই দেশের রিয়েল হিরো হিরোনী এ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তির প্রধান নায়ক নায়িকা , যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা প্রতিকূল পরিবেশে অমানবিক পরিশ্রম করে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করছেন।
আরও পড়ুনঃ ত্রিশালের সাবেক এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর ইন্তেকাল
যে রেমিট্যান্সের প্রতিটি স্তরে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ আর দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা।
এখন কোন সরকার ও দল রেমিট্যান্স যোদ্ধা দের কে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না৷ নিজের স্বার্থ আঁচিলের জন্য লম্বা লম্বা বক্তব্য দেয়।
এখন আমারা ঐক্যবদ্ধ পরিবার ৯ কোটি।
এম এ রউফ কাতার
ইন্টারন্যাশনাল টিম