মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ দুলাল সরকার
ঈদের তৃতীয় দিনে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে মুসলমানী করার জন্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হন। ডাক্তার মুন্সীগঞ্জের সুপরিচিত রেঁনেসা ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টারে এনে মুসলমানী করার জন্য অপারেশন করেন।
অপরেশনে ডাক্তার এ. টি.এম. ফারুকুল ইসলাম ৬ বছরের শিশুর গোপন অঙ্গই কেটে ফেলেন। রক্তাক্ত জখম হয় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বাদ আছর।
আশংকা জনক অবস্থায় রক্তাক্ত জখম ছেলেটিকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান ডাক্তার নিজে। সেখানে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন বলে ছেলেটির আত্মীয় স্বজন জানিয়েছেন।
উত্তর ফুলদীর মো: শামীমের ছেলে মুরসালিন (৬)। দক্ষিণ কেওয়ার নানাবাড়ি ঈদে বেড়াতে আসেন। নানা বাড়ির লোকজন ভাগিনার সুন্নতে খাৎনা করার জন্য ডাক্তার এ. টি.এম. ফারুকুল ইসলামের কাছে নিয়ে আসেন।
তিনি সুন্নতে করতে গিয়ে মুরসালিনের অঙ্গ কেটে ফেলেছেন। এমন অভিযোগ করেছেন মুরসালিনের চাচা ও মামারা। আত্মীয় স্বজন বলেন, রেঁনেসা কর্তৃপক্ষ কোন দায়বার নিতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘসময় চলে গেলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।
এ বিষয় ডাক্তার এ. টি.এম. ফারুকুল ইসলাম তার ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায় এম.বি.বি এস, মেডিসিন জেনারেল সার্জারী এবং শিশু রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ। বেরাকেটে লেখা সুন্নতে খাতনাসহ মাইনর সার্জারী করা হয়। এই ডাক্তারের বয়স ৭০ প্লাস।
তাকে সরকার রিটায়েড করে দিয়েছে কিন্তু সে নিজে চিকিৎসা দেয়া থেকে রিটায়েড নেননি। তিনি অবশেষে একটি অবুঝ শিশুর গোপন অঙ্গই কেনে ফেললেন। বিষয়টি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ শহরে আলোচনার শীর্ষে।
এ বিষয়ে ডাক্তারের ০১৯১৬৭৫৩৭৬৩ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রেঁনেসার মালিককে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।