এম এ রউফঃ
মুখে মধু অন্তরে বিষ। চলছে ৫৪ বছর ধরে। আমি তোমাকে ভালোবাসি।আপনার ভালোবাসা মিথ্যুক।আপনারা কাছ থেকে বুদ্ধি না নিলে আমরা সাধারণ জন গন অসহায় মানুষ।
পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মুখে মধু অন্তরে বিষ-এ ধরনের মানুষ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে। যতদিন পর্যন্ত পৃথিবী রয়েছে। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেকেই আছে, ফেসবুকে সাধু সেজে লেখালেখি করে। ভালো ভালো কথা লিখে প্রচার করে। অথচ এদের অনেকে জীবনে কোনো ভালো কাজ করেছে কি-না তারা নিজেরাও জানে না। এ ধরনের মানুষ তাদের রূপ পরিবর্তন করে ক্ষণে ক্ষণে।
এরা তোষামোদি করতেও পছন্দ করে। জ্ঞান, বিবেক, মনুষ্যত্ববোধের অভাব রয়েছে এদের মধ্যে। ঝগড়া লাগানোর মানুষ আছে সমাধানের মানুষ নেই।
এরা নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করে। একই সঙ্গে ক্ষতি করে সমাজের, দেশের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। এদের চিনতে কষ্ট হয় অনেক সময়। এরার প্রধান কারণ হলো এরা বহুরূপী। স্বার্থের প্রয়োজনে রূপ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। এম এ রউফ?
এদের কারণে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হয়, সৃষ্টি হয় বিবাদ। এরা ভালো মানুষের মুখোশ পরে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে। চাকরিতে নানা অনৈতিক কর্ম, ব্যবসায় অধিক মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করে। আমরা সাধারণ নাগরিক বলতে কিছু পাই না। আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ *বৈজ্ঞানিক ভ্রান্তি: কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অপব্যবহার এবং মনের শক্তির সাথে ভুলভাবে সংযুক্তির ব্যাখ্যা*
ঘুস, দুর্নীতি, অর্থ পাচার করে ভোগ বিলাসের জীবন বেছে নেয়। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে এ ধরনের লোকের দেখা মেলে। ৫৪ বছর ধরে। দেশ বা সমাজ গোল্লায় যাক-এ নিয়ে তাদের কোন ভাবনা চিন্তা নেই। আমরা যদি অতীতের দিকে ফিরে তাকাই দেখতে পাই মাটি, দেশ, ভাষা এবং সব ধরনের অধিকারের দাবিতে জীবন দিয়েছেন অসংখ্য দেশপ্রেমিক মানুষ।
অথচ আমাদের কারও কারও মাঝে লোভ, ব্যক্তিস্বার্থ এত বেশি যে যা পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য কিছুতেই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এখন থেকে যদি আমরা নিজেদের পরিবর্তন না করি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও হয়তো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। ভুলে গেলে চলবে না, অতীতের এত সংগ্রাম সব তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই।
আমরা সবাই বড় বড় কথা বলে জ্ঞান দিতে জানি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করি না। সৃষ্টিকর্তা ভালো-খারাপের ফলাফল পৃথিবীতেই দেবেন এবং মৃত্যুর পরও। যেমন কর্ম তেমন ফল। সময় থাকতে বুঝতে পারলেই ভালো। অসময়ে বা জীবনের শেষ বয়সে বুঝলে কোনো কাজে আসবে না। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করলেই কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ বুঝতে পারবেন। অতএব বিবেককে প্রশ্ন করতে শিখুন।
দেশপ্রেমিকের চেয়ে বুদ্ধিজীবী বেশি। আমি সাধারণ নাগরিক আমার কথা বলার অধিকার আছে। আমি ও আমরা দেশপ্রেমিক