বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন ইদিলপুর গ্রামের সুপ্রীয়া ম্রী চাকুরির সুবাদে স্বামী সন্তান নিয়ে দীর্ঘ বিশ বছর যাবত বসবাস করতেন ঢাকা মিরপুরে। সেখানে ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউটে দীর্ঘ কুড়িটি বছর নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সামান্য বেতনের টাকায় মেয়ের লেখাপড়া, ঘর ভাড়া এবং সংসার চালাতে মাঝেমধ্যেই হিমসিম খেতে হতো তাকে।
বিগত ১২ বছর আগে হঠাৎ করে তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো ছায়া। তার স্বামী নিরঞ্জন বাড়ৈ হঠাৎ ব্রেণষ্টোকে মারা যায়। মাথার উপর থেকে সরে যায় বটবৃক্ষ। এরপর থেকে বিভিন্ন চাপের কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
স্বামীর মৃত্যু, হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়া মেয়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ মধুপুরে ৩ বেকারি ফ্যাক্টরির মালিককে জরিমানা
ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বাসা ভাড়া এ সব কিছুর হিসাব মিলাতে না পেরে চলে আসেন গ্রামের বাড়ি মধুপুরে। চাকরিরত অবস্থায় কিছু কিছু টাকা জমিয়ে বাড়ি করার জন্য ইদিলপুর নামক স্থানে কয়েক শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন বলে জনা যায়।
কিন্তু অর্থের অভাবে সে জমিতে বাড়ি করতে না পেড়ে অন্যের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে তিনি জানান। সে তার মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ ঠিকানার জন্য আর্থিক সহায়তার চেয়ে দেশবিদেশের সকল হৃদয়বান ব্যাক্তিদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
যাতে বিশ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদে নিজের আশ্রয়স্থলে ঘুমাতে পারেন তিনি।