বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রতন দে শাওন নামে ভয়ংকর এক প্রতারকের ফাঁদে ব্যবসায়ীরা। রতন দে শাওন সে নিজেকে কখনো সাংবাদিক আবার কখন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়ে একের পর এক ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে। এই প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো পাওনাদারকে হুমকি দেয়ায় পাওনাদাররা প্রতারক রতন দে শাওনকে একাধিকবার গণধোলাই দিয়ে পুলিশর হাতে সোপর্দ করেছে। এছাড়াও এই রতন দে মাদক পাচার,নারী নির্যাতন ও প্রতারনাসহ সাতটি মামলার এজাহার নামীয় আসামী।
স্থানীয়রা জানান,রতন দে সে নিজেকে কখনো সাংবাদিক আবার কখন ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় প্রতারনার ফাঁদ পেতে পাহাড়ের সহজ সরল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সে ২০১৯ সালে রুমা উপজেলার ক্যইক্ষ্যংঝিরি বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বাকীতে কাজু বাদাম ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ধরে এই টাকা আর পরিশোধ করেনি। গত ছয় মাস আগে ওই ব্যবসায়ী তাকে বান্দরবান কলা বাজারে দেখে তার মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। পরে টাকা পরিশোধ করে সে ছাড়া পায়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবী জিয়া মঞ্চের বান্দরবান জেলা শাখার আহবায়ক মো: মুছা জানান,তিনি একটি ঘর নির্মান করার জন্য বেইজ খনন করছিলেন। এসময় রতন দে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পাহাড় কাটার অভিযোগ তুল ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি তাকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। গত মাসে শহরের থানছি বাস ষ্টেশন এলাকা থেকে চাঁদাবাজ রতন দে কে আটক করে গনধোলাই দিয়ে চাঁদার বিশ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা উসুল করা হয়।
মেঘলা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী মো: কামাল জানান,প্রতারক রতন দে শাওন আমাকে একটি সেগুন গাছের বাগান বিক্রি করবে বলে আমার কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ দিন হলেও গাছের বাগানও বুঝিয়ে দিচ্ছেনা টাকাও ফেরৎ দিচ্ছেনা। গত ২৮ অক্টোবর বুধবার রাতে শহরের থানছি বাস ষ্টেশন এলাকায় তাকে পেয়ে বিক্রিত গাছের বাগান বুঝিয়ে দেয়া অথবা টাকা ফেরৎ দেয়ার কথা বললে তখন সে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আমাকে হুমকি ধমকি প্রদান করেন।
এসময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
পরবর্তিতে থানায় একটি বৈঠক অনুষ্টিত হয় এবং টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
রতন দে ২০১৬ সালে সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরের নাম ভাঙ্গীয়ে লামা উপজেলার দুই ব্যক্তিকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি সাবেক মন্ত্রীর নজরে আসলে তিনি তৎক্ষনাৎ তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ প্রতারক রতন দে’র হাতে প্রতারিত হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। আরোও এইরকম ঘটনা অনেক আছে বলে জানান স্থানীয়রা।