নিজস্ব প্রতিবেদক,
দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জোটভিত্তিক সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং জাতীয় রাজনীতিতে কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে “রাজনৈতিক বাংলাদেশ জোট” তাদের নতুন মুখপাত্র হিসেবে বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়ে জোটের নীতি–দর্শন, রাজনৈতিক অবস্থান, জনস্বার্থমূলক বক্তব্য এবং ভবিষ্যৎ রূপরেখা দেশের মানুষের সামনে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপিত হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে মোঃ আবুল হাসেমের সততা, নিরপেক্ষতা, দেশপ্রেম, সংগঠন পরিচালনার দক্ষতা এবং জনমুখী সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে উপযুক্ত করে তুলেছে। তিনি শুধু একটি দলের নেতা নন—বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা তাকে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বে রূপ দিয়েছে।
জানা যায়, রাজনৈতিক বাংলাদেশ জোট একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, সামাজিক সংগঠন ও গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সুশাসন, জনঅধিকার পুনরুদ্ধার, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও জনগণকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জোটটি গত কয়েক মাস ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে।
জোটের নেতারা বলেছেন, বর্তমান সময়টি রাজনৈতিক অস্থিরতা, মেরুকরণ, বৈষম্য, দুর্নীতি ও জনগণের আস্থা সংকটের সময়। এমন মুহূর্তে একটি শক্তিশালী, দায়িত্বশীল এবং জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া মুখপাত্রের প্রয়োজন ছিল। সেই জায়গায় মোঃ আবুল হাসেম যথার্থ নির্বাচন। তিনি জোটের পক্ষ থেকে জাতীয় ইস্যু, রাজনৈতিক অবস্থান, দাবি–দাওয়ার বিষয় এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলন–সংগ্রামের রূপরেখা সারাদেশের মানুষের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে মোঃ আবুল হাসেম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি—বাংলাদেশের রাজনীতি জনগণকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হওয়া উচিত। রাজনৈতিক বাংলাদেশ জোট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে জাতীয় স্বার্থ, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্রের চর্চা এবং মানুষের মৌলিক অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি এই দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে পালন করার শপথ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “এ জোটের লক্ষ্য সংঘাত নয়—সমাধানমূলক রাজনীতি। আমরা সবার অংশগ্রহণে, শান্তি ও মানবিকতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই। দেশের প্রতিটি মানুষ—শ্রমিক, কৃষক, তরুণ, প্রবীণ, নারী, সংখ্যালঘু সবাইকে নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”
রাজনৈতিক বাংলাদেশ জোটের নতুন মুখপাত্র নিয়োগের ফলে জোটের কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়বে বলে দলের নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতের রাজনীতিতে জোটের ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে—এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।