পাঁচবিবি জয়পুরহাট প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের জীবনপুর মাঠের মধ্যে আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় সরকারি একটি ঘর পায় মিথাইল-লক্ষী দম্পতি। মিথাইল সংসার চালাতে বিভিন্ন রকম কাজ করে।
পক্ষান্তরে লক্ষ্মী রানীও হাত গুটে বসে থাকেনা সকল রকমের শ্রমিকের কাজ করেন। অবসর সময়ে সরকারি পাওয়া বাড়ির চার ধারে আম জাম কলা কাঁঠাল লিচু গাছ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করেন লক্ষ্মী রানী। লক্ষীর আম গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। এছাড়াও সে হাঁস মুরগি ও ছাগল পালন করে। মিথাইল বলেন, জাতিতে যেহেতু আমরা খ্রিস্টান এজন্য একটি কালো খাসিও (শুকর) আছে।
তিনি আরো বলেন, রান্নার জন্য বাজার থেকে কোন প্রকার সবজি কিনতে হয় না। কারন বাড়ির সামনে পিছনে সব ধরনের সবজির চাষ করে আমার স্ত্রী। লক্ষ্মী রানী বলেন, আমরা তো গরীব অভাবের মধ্যদিয়ে দিন কাটে। আমাদের সংসারে ৩ টা ছেলে অনেক খরচ। আমি বাড়ির চারপাশের ফাঁকা জায়গাগুলো ফেলে না রেখে এসব ফলের ও সবজির চাষ করেছি।
আরও পড়ুনঃ চারটি প্রমাণের মধ্যে একটি প্রমাণই যথেষ্ট , ১৩৭ বছরের বেদখল জমি আপনার
এসব বাজার থেকে আর কিনতে হয় না গাছ থেকেই পাই। লক্ষ্মী আরো বলেন, বিভিন্ন জাতের আম গাছই আছে ২০’টার অধিক। প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে আম ধরেছে।
বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজমুল হক বলেন, জীবনপুর পুকুর পাড়ের আশ্রয় প্রকল্পের আওতায় পাওয়া প্রতিটি পরিবারের লোকজন কমবেশি তাদের বাড়ির চারধারের ফাঁকা জায়গায় ফলের ও সবজির চাষ করে আসছেন।