নিউজ ডেস্কঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। টানা পানি বৃদ্ধির ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই দুই ইউনিয়নের শত শত একর আবাদি জমি, রাস্তাঘাট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এর প্রভাবে ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নদী পাড়ের মানুষজন এখন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। পানি আরও বাড়তে থাকায় নদী-সংলগ্ন আরও চারটি ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানিয়েছেন, আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) পদ্মার পানি কুষ্টিয়ায় বিপৎসীমার এক মিটারেরও কম নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯০ সেন্টিমিটারে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৩.৮০ সেন্টিমিটার।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে ওই দুই ইউনিয়নের ২৪৩ হেক্টর জমির ধান, কলা, সবজি, মরিচ ও ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, আজ নতুন করে পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে মানুষের বসতবাড়িতেও পানি ঢুকে যাবে।
এদিকে পানি পরিস্থিতি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মায় প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এই ধারা কতদিন চলবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে বন্যা মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।’