মোঃ এরশাদ আলী, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার স্থানীয় কতিপয় গণমাধ্যমে *“লংগদুতে সেটেলার বাঙ্গালী কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীর ভূমি বেদখলের পায়তারা” শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা পরিপূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।
প্রকৃতপক্ষে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত থেকে সকল জাতিগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পাহাড়ি বা বাঙালি কোন সম্প্রদায়েরই বৈধ জমি দখল করার প্রশ্নই উঠে না। প্রকাশিত সংবাদে যে স্থান/জমির উল্লেখ করা হয়েছে, তার বাস্তব সঠিকতা হলো নিম্নরূপ:
বর্ণিত এলাকার জায়গাটি সরকারি খাসজমি এবং ১৯৮৮ সালের ৯ অক্টোবর হতে তৎকালীন সেনাবাহিনীর ৭ ইষ্ট বেঙ্গল এবং পরবর্তীতে ৭ বিজিবি, ১৭ বিজিবি , ৩৬ বিজিবি , ২২বিজিবি, ৪১বিজিবি, ১২ বিজিবি এবং ১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পার্বত্যাঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ হতে ৩৭ বিজিবি রাজনগর জোন উক্ত ক্যাম্প ও পোস্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ৩৮৬ নং গুলশাখালী মৌজায় অবস্থিত ৭ ও ৮ নং পোস্ট ২টি তেমাথা বিজিবি ক্যাম্প হতে আনুমানিক ১.৫ কি:মি: দক্ষিণে অবস্থিত। তবে গত ২১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে রাঙ্গিপাড়া অস্থায়ী পোস্ট নতুন করে স্থাপনের পর ৮ নং পোস্ট রাঙ্গীপাড়া অস্থায়ী পোস্টের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কালিহাতীতে পুলিশের অভিযানে ৮ জুয়াড়ু আটক
পোস্টগুলো ৩৭ বিজিবি‘র তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং বিজিবি ক্যাম্প হতে নিয়মিত এসআরপি/বিশেষ টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হচ্ছে। এছাড়া উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর পোস্ট সম্বলিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পূর্ব থেকেই বিদ্যমান।
এখানে উল্লেখ্য, ৭ নং পোস্টের ৫ একর ও ৮ নং পোস্টের ৩ একর সহ মোট ৮ একর জমির মধ্যে ব্যবহারযোগ্য ৭ একর জমি বিজিবি কর্তৃক পূর্ব থেকে স্থানীয়দের মাঝে লীজ প্রদান করে আসছে। সর্বশেষ গত ৩০ জুন ২০২৫ হতে স্থানীয় মোঃ আব্দুল হালিমের নিকট উক্ত জমি লীজ প্রদান করা হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের একটি পেশাদার, নিরপেক্ষ ও মানবিক নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে পাহাড়ের সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জনেও সফল হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, একটি বিশেষ মহল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট / বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
এ ধরনের মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সংবাদ পার্বত্য এলাকার পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রের অংশ ও জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও তথ্য উপাত্ত যাচাই করে সঠিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে এবং উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনাধীন।