শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

নিউইয়র্কে সিরাজুল আলম খানের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী ২২ জুন পালন করা হবে

Reporter Name / ৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
নিউইয়র্কে সিরাজুল আলম খানের ২য মৃত্যু বার্ষিকী ২২জুন পালন করা হবে

হাকিকুল ইসলাম খোকন, বাপসনিউজঃ

৯ই জুন২০২৫ ,মুক্তিযুদ্ধে ও ,স্বাধীন বাংলার অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলার নিউক্লিয়াসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের ২য মৃত্যুবাষিকী ।এ উপলক্ষে নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে বিকাল ২২ জুন,২০২৫ রবিবার বিকাল সাড়ে ৬ টায় নিউইয়র্কের জ‍্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদ নিউইয়র্কের উদ্যোগে এক স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে সিরাজুল আলম খানের ২য মৃত্যু বার্ষিকী ২২জুন পালন করা হবে

খবর বাপসনিউজ।এতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদ নিউইয়র্কের আহবায়ক ডাঃমজিবুল হক ও সভা পরিচালনা করবেন সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানে সকল প্রবাসীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিচিত সিরাজুল আলম খান নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন গৃহিণী।

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, ১৯৫৭-১৯৬০ সাল মেয়াদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (সভাপতি: রফিকুল্লাহ চৌধুরী) এবং ১৯৬০-৬৩ সাল মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এই কমিটিতে শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ওই কমিটিতেই প্রথমে সদস্য, পরে ১৯৬১ সালে সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সিরাজুল আলম খান।

১৯৫৬ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। তার পর ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। থাকতেন ফজলুল হক হলে। গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় ‘কনভোকেশন মুভমেন্টে’ অংশগ্রহণ করার কারণে। প্রতিদিন রাত করে হলে ফিরতেন। ফলে হল থেকেও একবার বহিষ্কৃত হন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করায় তার পক্ষে মাস্টার্স ডিগ্রি নেওয়া সম্ভব হয়নি।

১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে সিরাজুল আলম খান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করে বাংলাদেশের স্বাধীন জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ’৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে যে নিউক্লিয়াস গড়ে উঠে, তিনিই ছিলেন তার মূল উদ্যোক্তা।

এই নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন আবদুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ। তার পর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ছয় দফার সমর্থনে জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন সিরাজুল আলম খান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এলে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠন প্রশ্নে মতভেদ দেখা দেয়। গড়ে তোলেন একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ‘অভ্যুত্থান’ বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক ঘটনা।

জাসদ গঠন এবং ‘অভ্যুত্থান’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। আর এই দুটি বৃহৎ ঘটনার নায়ক ছিলেন মেজর জলিল, আ স ম আবদুর রব এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহের। যদিও তৎকালীন জাসদের অনেক কর্মকান্ডের বিষয়ে তাকে না জানিয়ে তৎকালীন কয়জন অতি উৎসাহিরা নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় দম্পত্তিকে পুশ ইন  বিএসএফ,র 

তাহেরের পরিবারের লোকজন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে জিম্মি করতে যেয়ে খুন হয়। জাসদের নেতারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বেশিরভাগ বিষয়ে তৎকালীন শীর্ষ নেতারা এসব জানতেই না।

সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় সাত বছর কারাভোগ করেন। কনভোকেশন মুভমেন্টের কারণে ১৯৬৩ সালের শেষ দিকে গ্রেফতার হন। ১৯৭৬ সালে ফৌজি জিয়াউর রহমানের সৈরশাষন আমলে আবার গ্রেফতার এবং ১৯৭৯ সালে মুক্তি পান। ১৯৯২ সালে বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪ মার্চ সিরাজুল আলম খানকে গ্রেফতার করা হলে চার মাস পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান।

সিরাজুল আলম খান ৯ জুন ২০২৪ ইন্তেকাল করেন ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category