লেখক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনঃ
বিএনপির “RAW সালাহউদ্দিন” বলেছেন, জুলাই সনদের কোন সাংবিধানিক এবং আইনি গুরুত্ব আছে বলে আমরা মনে করি না। রাজনীতিতে আবেগের কোন স্থান নাই।
🔴 জুলাই সনদকে সংবিধানে এড করতে বিএনপি রাজি না।
⭕ মানে, জুলাই আন্দোলনের কোন আইনি স্বীকৃতি ওরা দেবে না।
📍 ভবিষ্যতে পুলিশ হত্যার দায়ে বিপ্লবীদের ফাঁসির পথ উন্মুক্ত হলো।
📌 জুলাই হয়ে গেল শুধুই এক আবেগ, যেই আবেগের এখন কোন জায়গা সংবিধানে হবে না।
আবেগই বটে।
আবেগ ছাড়া কেউ খালি হাতে হাসিনার গুলির সামনে বুক পেতে দেয়?
আরও পড়ুনঃ যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শীর্ষকমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আবেগী না হয়ে লজিক্যাল হলে বরং দেশের বাইরে পালাইয়া থাকত। বলত,এই আন্দোলনের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই।
আবেগই বটে!!
আবেগী না হলে মরার ভয় থাকত, ২৮ অক্টোবর এর মত ১০ মিনিটে পুলিশের ভয়ে সব পালাইত।
আবেগী বলেই তো হাসিনার পুলিশকে বলতে হয়েছিল, একটা গুলি করি,একটা মরে, একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না।
এই ছেলেমেয়েরা যখন ঝাকে ঝাকে প্রান দিয়েছে, তখন সালাহউদ্দিনরা নিষেধ করে নাই। বরং তাল দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শীর্ষকমত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
এখন কাজ শেষ। এখন ক্ষমতার পথ উন্মুক্ত।এখন জুলাই হয়ে গেছে আবেগ। এখন নাকি রাজনীতিতে আবেগের কোন স্থান নাই।
অথচ এই আবেগ ছিল না বলেই ১৭ বছর আওয়ামী লীগের বা* ছিড়তে পারে নাই।
পোলাপানের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা পাবে,এখন পোলাপান হয়ে গেছে আবেগ।
সালাহউদ্দীন আহমেদদের কথা শুনে যদি সত্যিই জুলাইকে আবেগ বিবেচনা করে জুলাই সনদকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়, তাহলে এই দেশ আর জুলাইয়ের দেশ থাকবে না।
এই দেশ হবে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের দেশ।
এই দেশকে নিজের দেশ ভেবে আর কোনদিন কেউ রক্ত দিয়েন না।
কারণ আপনার রক্ত ওদের কাছে শুধুই আবেগ, এই রক্ত নিয়ে ওরা ক্ষমতায় যাবে,বাট আপনার রক্তের স্বীকৃতি দেবে না কোনদিন।
আমার আপনার রক্ত নেওয়ার সময় ঠিকই নেবে। তখন নিজেরা বিদেশে বইসা সব রকমে তাল দিবে।
এরপর আপনি আবেগে পড়ে রক্ত দেবেন।
এরপর এরা দাঁত কেলাইয়া বলবে, এসব আবেগ।রাজনীতিতে আবেগের কোন জায়গা নাই।
এভাবেই এ দেশে ৭১ এর রক্ত বিক্রি হয়েছিল।
এভাবেই এবার ২৪ এর রক্তও বিক্রির পথেই এগোচ্ছে।
৭১ এর তাও সাংবিধানিক স্বীকৃতি ছিল।
২৪ এর সম্ভবত এরা ওইটুকুও রাখতে দেবে না।
কাদের জন্য রক্ত দিল ২০০০ মানুষ?