রনজিৎসরকার রাজ বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
বহুল আলোচিত একতা ক্লিনিকে সিজারের অন্তরালে খুনি ডাক্তার ইয়াসমিনের রক্ষক আশ্রয় প্রশ্রয় দানকারী তথা সেল্টার দাতা দিনাজপুর বীরগঞ্জের নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী, হাজী দানেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত তানভীর ইসলাম।
তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলা রাণীশংকৈল থানা এবং সেখানকার ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তানভীর ইসলাম তাদের লোক এবং এক সময় স্বৈরাচার, পতিত, দুর্নীতিবাজ আওয়ামিলীগ সরকারের সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী’র পিএস আবুল বাসারের বন্ধু পরিচয় দিয়ে দ্বিধাহীন সকল দুর্নীতি চালিয়েছে, বর্তমানে খোলস পাল্টিয়ে বিএনপি সেজে বীরগঞ্জের জনৈক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম ভাঙ্গাতে শুরু করেছে ।
আরও পড়ুনঃ চাকুরী ও একই সাথে ভাড়াটে ডাক্তার দিয়ে চেম্বার, তানভীরের রমরমা বানিজ্য!
বীরগঞ্জ-পীরগঞ্জ রোডে ভাড়া ঘরে খান সুপার মার্কেটে পরিচালিত নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অবস্থান। সেখানে শুক্রবার সহ সপ্তাহে ২/৩ দিন অদক্ষ ঐ ডাক্তার ইয়াসমিন ইসলাম নিয়মিত রোগী দেখেন এবং একতা ক্লিনিকে সিজার করেন।
বীরগঞ্জের সা’দ ক্লিনিকের মালিক আহসান হাবিব শামীম সহ অন্যান্য ক্লিনিক মালিকেরা জানান ডাক্তার ইয়াসমিন ইসলাম বদরাগি, রোগী ও রোগীর লোকজনের সাথে খুব দুর্ব্যবহার করেন, হাতভারী এবং এনেসথেসিয়া অভিজ্ঞ ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে সাথে না নিয়ে ছাত্রদের নেন, কোন এসিস্ট রাখেন না, সম্পুর্ন অনিয়ম করেন বিধায় প্রসূতি মৃত্যুর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ফলে আমরা ওনাকে কোন কাজেই ডাকি না।
কেবলমাত্র নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহযোগিতায় চেম্বারে রোগি দেখেন এবং একতা ক্লিনিকে সিজার করেন। সিজারের পর ডাক্তার চলে যায়, অনাকাংখিত ঘটনার মুকাবিলা করতে হয় ক্লিনিক মালিকদের।
আরও পড়ুনঃ বীরগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিকে অভিযান। ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা
তাদের প্রশ্ন ডাক্তারের কি কোন দায়ভার নাই?
নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী তানভীর উত্তরাঞ্চলসহ দেশের মধ্যে একটি সুনামধন্য (হায়ার এডুকেশান বিদ্যাপিঠ) হাজী দানেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত থাকার পরেও বীরগঞ্জে কিভাবে একটি বৃহৎ ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করেন?
অভিযুক্ত ডাক্তার ইয়াসমিন ইসলাম ফোন রিসিভ করেন নাই তবে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী তানভীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অনেকে ভিন্নমত প্রকাশ করলেও আমি সততার সাথে চাকুরী ও ব্যবসা করি, কে কি বলল তাতে আমার যায় আসে না।
এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আফরোজ সুলতানা লুনা’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন পর্যায়ক্রমে বীরগঞ্জের প্রতিটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের অনিয়ম দূর করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
একতা ক্লিনিকের ন্যায় ঝুকি নিয়ে চলমান, অনুমোদনহীন, ত্রুটিপূর্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।