চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ নাচোল , গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট আসনে বিএনপি’র খসড়ায় ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে উত্তাল মনোনয়ন প্রত্যাশাকারী’রা সহ স্থানীয় তৃণমূল বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বৃন্দ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৪৪-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকের মন্তব্য খসড়ায় ঘোষিত মনোনীত প্রার্থী জনাব আমিনুল ইসলাম আমিনের নাম ঘোষণার পরে থেকে স্থানীয় তৃণমূল বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মন্তব্য’, সমালোচিত ব্যক্তি কোন অদৃশ্য-ক্ষমতা বলে মনোনয়ন পেলেন এ’নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকের দাবি জনাব তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে মনোনয়ন নেওয়া হয়েছে যা তিনি তদন্ত পূর্বক পূর্ণ বিবেচনা করে দলের যোগ্য, ত্যাগী, জনপ্রিয় ও কর্মী-প্রিয় ব্যক্তিকে প্রার্থী করার অনুরোধ জানান স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ- নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাটের বিভিন্ন পয়েন্টে মনোনীত প্রার্থী জনাব আমিনুল ইসলাম আমিনকে পরিবর্তনের দাবিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনাবা মাসউদা আফরোজ হক শুচি, ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ, ড. সাহাফুজ আলম অপু, জনাব আশরাফ হোসেন আলিম, জনাব আব্দুস সালাম (তুহিন) ও জনাব তারিক আহমদের অনুসারীদের সাথে সভা’ করতে দেখা গেছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ৪৪- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগনের আশার প্রতিফলন হয়নি। বিগত ১৭ বছরের পরীক্ষিত নির্যাতিত ও কারাবন্দিদের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে চলা, দল থেকে বহিষ্কৃত’দের নিয়ে বিকল্প সভা’ ও
গুম-হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও হয়রানি মূলক যার রাজনীতিক ক্যারিয়ার, তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরে দলীয় কোন মামলা নেই, সে আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির ভোট বিক্রি করে- বিএনপি’র প্রার্থীকে পরাজিত করতো। এরকম আন্দোলন বিমূখ ব্যক্তির নাম বিএনপির মহাসচিব ঘোষনা করেছেন- যাকে নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাটের জনগন বয়কট করেছেন। কারণ তিনি প্রার্থী থাকলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন অসম্ভব। তাই স্থানীয় জনগনের চাওয়া উল্লেখ্য আসনে বিএনপির এমপি প্রার্থী হবেন ত্যাগী, যোগ্য ও জনপ্রিয় মানবিক কেউ। যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতন আন্দোলনের পুরো সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুসারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কাজ করেছেন। যারা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে- এক সেকেন্ডের জন্যও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি।
তারা আরো বলেন, বর্তমানে যাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ-সস্পাদক থাকলে’ও অতীতে ও বর্তমানে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে দলীয় কাজে সময়-মত পাশে পাননি তাই স্থানীয় তৃণমূল বিএনপি’র ভিতর তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অবিলম্বে জনাব আমিনুল ইসলামের পরিবর্তে যোগ্য, ত্যাগী ও জনপ্রিয় মানবিক কাউকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি’র এমপি প্রতিনিধি হিসাবে দেখতে চান তারা।
বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা আশা করি বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অন্য’থায় দলগত কল্যাণের জন্য তিন উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তারা। সভা-গুলোতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জনাব আমিনুল ইসলাম আমিনের করা অপকর্ম গুলো তদন্তাধীন যা দ্বিতীয় পর্বে প্রকাশ হবে। (সরেজমিন প্রতিবেদন, পর্ব-১)।