স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী
কৃষ্ণ কুমার সরকার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, লুটপাট ও কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর আড়াই মাস পর মামলা হয়েছে। নুরুল হকের শ্যালিকা শিরিনা বেগম পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে গোয়ালন্দ দরবার শরিফে তাঁর লাশ দাফন করেন ভক্তরা। এর পর থেকেই কথিত তৌহিদি জনতা পরিচয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলার পরিকল্পনা করে একটি চক্র। তারা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার মীমাংসার উদ্দেশ্যে সভা করা হয়। সভায় কথিত তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে উত্থাপিত সব দাবি মেনে নেয় নুরুল হকের পরিবার।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোয়ালন্দ দরবার শরিফ পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা নানা উছিলায় হামলা, লুটপাটের পরিকল্পনা করে। দাবি মেনে নেওয়ায় হামলাকারীরা প্রথমে তাদের সব বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে। এর পরও জুমার নামাজের পর পূর্বনির্ধারিত আনছার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে থাকে তৌহিদি জনতা। বিক্ষোভ থেকে বেলা ৩টার দিকে হামলা চালানো হয় দরবার শরিফে।
হামলা চলাকালে নারী ভক্তদের শ্লীলতাহানির চেষ্টাসহ অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা নুরুল হকের লাশ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া হামলাকারীদের মারধরে এক ভক্ত নিহত ও আহত হয় শতাধিক অনুসারী, যাদের মধ্যে এখনও অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এজাহারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নুরুল হকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রিট পিটিশন করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদেশ দেন আদালত। তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রশমিত হলে আড়াই মাস পর মামলা করা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার পরপর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে। এ ছাড়া নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা চার থেকে সাড়ে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে করেন হত্যা মামলা। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।ঘটনার আড়াই মাস পর মামলা করল নুরাল পাগলার পরিবার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, লুটপাট ও কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর আড়াই মাস পর মামলা হয়েছে। নুরুল হকের শ্যালিকা শিরিনা বেগম পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে গোয়ালন্দ দরবার শরিফে তাঁর লাশ দাফন করেন ভক্তরা। এর পর থেকেই কথিত তৌহিদি জনতা পরিচয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলার পরিকল্পনা করে একটি চক্র। তারা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার মীমাংসার উদ্দেশ্যে সভা করা হয়। সভায় কথিত তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে উত্থাপিত সব দাবি মেনে নেয় নুরুল হকের পরিবার।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোয়ালন্দ দরবার শরিফ পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা নানা উছিলায় হামলা, লুটপাটের পরিকল্পনা করে। দাবি মেনে নেওয়ায় হামলাকারীরা প্রথমে তাদের সব বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে। এর পরও জুমার নামাজের পর পূর্বনির্ধারিত আনছার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে থাকে তৌহিদি জনতা। বিক্ষোভ থেকে বেলা ৩টার দিকে হামলা চালানো হয় দরবার শরিফে।
হামলা চলাকালে নারী ভক্তদের শ্লীলতাহানির চেষ্টাসহ অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট করা হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা নুরুল হকের লাশ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া হামলাকারীদের মারধরে এক ভক্ত নিহত ও আহত হয় শতাধিক অনুসারী, যাদের মধ্যে এখনও অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এজাহারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নুরুল হকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রিট পিটিশন করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদেশ দেন আদালত। তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রশমিত হলে আড়াই মাস পর মামলা করা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার পরপর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে। এ ছাড়া নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা চার থেকে সাড়ে চার হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে করেন হত্যা মামলা। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।