মোজাফফর রহমান সিনিয়র রিপোর্টারঃ
বগুড়া জেলা গাবতলী উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গাছ কেটে,কলাবাগান, ভুট্টা ক্ষেত পাট ক্ষেত এবং মাশকালাই এর ক্ষেত নষ্ট করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা মৌজায় জোরগাছা গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গাবতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বাদী শাহা আলম এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বিবাদী ১। মোঃ বাবলু মিয়া, ২। মোঃ রাজ্জাক, উভয়ের পিতা মৃত ওসমান প্রামানিক, ৩। মোঃ হৃদয়, পিতা মৃত আব্দুল হামিদ প্রাং, ৪। মোঃ ফজুল, পিতা- দিলবর প্রাং, ৫। মোঃ মাফু, পিতা: মৃত মোয়াজ্জেন প্রাং,
৬। মোঃ ইংরেজ, পিতা মো: হায়দার প্রাং ৭। দুলু, পিতা- মোঃ আফজাল প্রাং, সর্বসাং কালাইহাটা, ডাকঘর বালিয়াদিঘী খানা- গাবতলী, জেলা- বগুড়া ৮। মো: বাছা প্রাং, গিতা- গিয়াস প্রাং ৯। মোঃ ওমর আলী, ১০। মোঃ হরমুত আলী ১১। মোঃ কুমুর আলী ১২। মোঃ আনোয়ার ১৩। মোঃ শহিদুল সকলের পিতা: মৃত আব্দুল প্রাং
১৪। মো চান্দু, পিতা। মো. আফজাল প্রাং সকলের সাং-জোড়গাছা পশ্চিম পাড়া, ডাকঘর-জোড়গাছা, থানা- সারিয়াকান্দি, জেলা- বগুড়াগণ সহ আরও অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি সিএস, এমআর কাগজমূলে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। ভোগ দখল থাকা অবস্থায় উক্ত জমিগুলি বাঙ্গালি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় এস এ রেকর্ডে জমিগুলি সরকারি ১ নং খাস ক্ষতিয়ানভুক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের নিন্দা : ঢাকা প্রেসক্লাবের কঠোর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি
উক্ত জমি প্রায় ৩০ বৎসর পূর্বে জাগিয়া উঠিয়াছে সরকারি বিধি বা নিয়ম অনুযায়ী উক্ত জমি ভোগ দখলের অধিকার হবে পূর্বের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত মালিকগণ। সেই সূত্রে আমরা ৩০ বৎসর যাবত শান্তিতে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি।কিন্তু গত ৩/০৯/২৫ইং তারিখে উক্তি বিবাদীগন আমাদের ফসলের জমিতে থাকা গাছ, কলা বাগান, ভুট্টা, পাট ও মাশকালাই এর ক্ষেত সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাতিয়ার ঘাটে শ্রমিকদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ
এতে আমাদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তারা প্রায়ই আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে এবং ক্ষেত পায়ে মাড়িয়ে ও পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করে নষ্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা এই বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, জমিজমা বিরোধের জেরে গাছপালা কর্তন ও ফসল নষ্টের একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে,তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কেউ এ ধরনের প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস না পায়।