শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনমঃ
ময়মনসিংহে অবৈধ ব্যাটারি অটো তৈরির কারখানা, চুরির সংখ্যা বেড়েই চলেছে মিটফোর্ড এ  নৃশংসভাবে ইট দিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জন ও চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ খন্ড করে গুম করার চেস্তার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার সহ   সাংবাদিকদের সাথে র‍্যাবের মতবিনিময় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টস একাডেমির উদ্দোগ্যে জোড়া খাসি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট গাবতলীতে অনুষ্ঠিত *মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি:* *অগ্রগতি ও অন্তরায়* *জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব: আইন, নীতি, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের আলোকে মনস্তাত্তিক এবং ভৌগোলিক বিশ্লেষণ* দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা মিডফোর্ডে ব্যাবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা -কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি’র শিক্ষার্থীরা অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫৩ কর্মকর্তা ছাঁটাই সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত আদেশ স্থগিত শিকাগো ম্যারাথন ও আয়রনম্যান নিউইয়র্কে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশি মিশু চাঁদপুরে খুতবা পছন্দ না হওয়ায় ইমামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ! রাজনীতি, সন্ত্রাস ও নৈতিক পতন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা যেই লাউ সেই কদু *”যোগ্য বিচার চাই – মানবতা যেন হার না যায়!”* এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত সফর: মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের পাশে মানবিক নেতার একদিন মিটফোর্ড খুন- খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিতে হবে, নয়তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদত্যাগ করার, দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন? খুব যত্ন করে দিন, যাতে কেউ টের না পায়!

কুড়িগ্রামে প্রেমের ‘অপরাধে’ কিশোরের ওপর বর্বর নির্যাতন!

রিপোর্টার নাম
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
কুড়িগ্রামে প্রেমের ‘অপরাধে’ কিশোরের ওপর বর্বর নির্যাতন!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক কিশোরের ওপর প্রেমের দায়ে চালানো হয়েছে ভয়াবহ মধ্যযুগীয় বর্বরতা। প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ঘরে আটকে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা, হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন, এমনকি নখে সুই ঢুকিয়ে পঙ্গু করার মত নৃশংসতা চালিয়েছে অভিযুক্তরা।

অথচ এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ—যা আইনের প্রতি ভয়াবহ অবহেলার দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম আশরাফুল ইসলাম সজিব (১৭)। সে চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি ঢুষমারা গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে।

তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই ইউনিয়নের এক কিশোরীর (১৪) সঙ্গে। ঘটনার সূত্রপাত ৯ জুন সন্ধ্যায়, প্রেমিকাকে দেখা করতে গেলে কৌশলে তাকে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরদিন সকালে তাকে ফাঁদে ফেলে গয়নার পটল এলাকার একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ১০ জুন সকালে ১২-১৩ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে সজিবকে ঘরে আটকে লাঠি, দা, ছোরা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্যাতন চালায়। গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়, দুই হাতে ও পায়ে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করা হয়।

এরপর শুরু হয় পৈশাচিক নির্যাতন—লোহার চেইন দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর, শরীরজুড়ে কালশিটে, রক্তাক্ত জখম এবং নখে সুই ঢুকিয়ে শারীরিক অঙ্গহানির ভয়ঙ্কর চেষ্টা। এমন বর্বর নির্যাতনের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ১৫ জুন ভুক্তভোগীর বাবা আলমগীর হোসেন ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চিলমারী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি।

আরও পড়ুনঃ বালিয়াডাঙ্গীতে ৩দিন ব্যাপি ফল মেলার উদ্বোধন

অভিযোগকারী বাবা বলেন, “ছেলেকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। পুলিশ মামলা নিচ্ছে না, বরং প্রমাণ, ভিডিও, মেডিকেল রিপোর্ট চাইছে। আমরা কাগজ দিয়েছি, ছবি দিয়েছি। তবু মামলা নেয়নি। উল্টো বলছে কোর্টে যান। আমি থানায় এসেছি, কিন্তু পুলিশ বারবার সময় নিচ্ছে।”

অভিযুক্তদের একজন রফিকুল নামের ব্যক্তি ঘটনার দায় অস্বীকার করে বলেন, “স্থানীয়দের উদ্যোগে ছেলেটিকে ফিরিয়ে আনা হয়, পরে গার্জিয়ানরা শাসন করেছে।” তবে পুলিশের নিরব ভূমিকা ও ঘটনাটিকে স্থানীয় বিরোধ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলাকাবাসী।

চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আব্দুর রহিম বলেন, “এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করতে হলে জেলা পুলিশ সুপারের অনুমোদন প্রয়োজন। এখনো সে অনুমোদন আসেনি।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের নৃশংস নির্যাতন সভ্য সমাজে একমাত্র আইনের মাধ্যমেই বিচার হওয়া উচিত।

কিন্তু পুলিশের গড়িমসি ও নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধীরা সাহস পাচ্ছে, আর ভুক্তভোগীরা পাচ্ছে না ন্যায়বিচার।


এই বিভাগের আরও খবর