মোঃ আহমুদুল হাসান, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
একটা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া মেয়ে, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে বলছিল—
“আমার জ-ন্ম আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার বাবা-মা তাদের জৈবিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন।”
এ যেন নিজের অস্তিত্ব নিয়েই বাবা-মাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।
অপর পাশে, আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তার কর্মজীবী মা-বাবা।
নিরব, মাথা নিচু, একবারও মেয়ের মুখের দিকে তাকানোর সাহস করেননি।
মেয়ের এমন অভিযোগ শুনে আদালতে উপস্থিত সবার হৃদয় কেঁ-পে উঠলেও, তারা ছিলেন নিঃশব্দ।
আরও পড়ুনঃ দেশে যতবার মানুষ ভোট দিতে পেরেছে, তখনই জনগণ বিএনপিকে বেছে নিয়েছে।— এস এম জাহাঙ্গীর
মেয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে তার আইনজীবী বললেন—
“সে চায় আমেরিকায় গিয়ে পড়তে। কিন্তু তার মা-বাবার সেই সক্ষমতা নেই।”
বিচারক কথা বলার সুযোগ দিলেও মা-বাবা কোনো কথা বলেননি।
নিরবে মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন।
এই তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রতিদান?
কিন্তু এখানেই শে-ষ নয়।
এই মেয়ে শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি। তার চাহনি, ভাষা, শ-রী-রী ভাষা— সব কিছুতেই ফুটে উঠেছে এক ধরনের ঔদ্ধত্য, এক ধরনের অ-ব-মা-ন-না-ক-র মনোভাব।
সে যেন বাবা-মা নয়, একজন অ-প-রা-ধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে!
শুধু ফ্লুয়েন্ট ইংরেজিতে কথা বললেই কি শিক্ষিত হওয়া যায়?
এই মেয়ের ব্যবহার, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, সব কিছু দেখে প্রশ্ন জাগে—
এটা কি শিক্ষার ফল, নাকি এক বিকৃত উচ্চবিলাসের বহিঃপ্রকাশ?
এ ধরনের নোং-রা মনমানসিকতার মেয়েরা সমাজে, শিক্ষায় এবং পরিবারে বিষ ছড়ায়।
তারা নিজের অর্জনের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে আ-ঘা-ত করে মা-বাবার আত্মমর্যাদায়।
শিক্ষা কি তাকে মানবিকতা শেখায়নি?
সমাজ তাকে নৈতিকতা দিতে ব্যর্থ হলো কেন?
এই মেয়ে যদি এই সমাজের “সুশিক্ষিত” প্রতিনিধি হয়, তবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে।