বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের জানাজায় এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যের জন্ম দিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক ভাই।
যেখানে অনেকেই শোকবার্তায় দায়িত্ব শেষ করেন, তিনি সেখানে জানাজায় এসে কেঁদে ফেললেন, কণ্ঠ ভেঙে ক্ষমা চাইলেন! এক সহকর্মীর প্রতি দায়বদ্ধতার এমন প্রকাশ এই দেশে বিরল। তিনি বললেন, তুহিন আমাদের পরিবারের একজন ছিল। যদি কোনোদিন তার আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে, তাহলে আপনাদের সামনে মাথা নিচু করে ক্ষমা চাই। ওর ঋণ আমারও। ক্ষমা করে দিন আমাকে।
তিনি আরও অনুরোধ করলেন, “যারা তুহিনের ঔষধের ব্যবসায় টাকা বাকি রেখেছেন, তারা যেন তুহিনের অসহায় পরিবারের দিকে তাকিয়ে তা দিয়ে দেন।” শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকেও কেউ পাওনা থাকলে, তিনি সেটাও যথাসাধ্য দেখার আশ্বাস দেন। এই দৃশ্য শুধু এক মৃত্যু নয়, এক পেশার বিবেক জাগরণের মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ সত্যি হবে বীর- কবি তাছলিমা আক্তার মুক্তা
তাঁর প্রতিষ্ঠানের অনেকের কাছেই জেনেছি, আমিও ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধেয় রফিক ভাইকে চিনি। তাঁর এই হৃদয়ভাঙা অবস্থান, তাঁর এমন সাহসী প্রকাশ আমি বহুবার নানান ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছি। তিনি কেবল একজন সম্পাদক নন, একজন মানুষ, যার কান্না ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ভাবি, যদি দেশের সব মিডিয়া সম্পাদকের হৃদয়ে এমন জায়গা থাকত, তাহলে আর কোনো রিপোর্টার এভাবে হারিয়ে যেত না। রফিক ভাইয়ের চোখের পানি যেন প্রতিটি গণমাধ্যমের বিবেক নাড়িয়ে দেয়। যেন সরকারেরও টনক নড়ে! এই কান্না শুধু ব্যক্তিগত শোক নয়, এটি একটি পেশার আর্তনাদ।
স্যালুট আপনাকে, রফিক ভাই।
আপনি একজন সম্পাদক নন, আপনি আমাদের আত্মার প্রতিনিধি। ❤️🕊️