✍️ দিলরুবা আক্তার পারভীনঃ
আমাদের দেশের কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী মনোভাব পরিলক্ষিত হতে দেখা যাচ্ছে। তারা একটু সংসার উদাসী ,প্রেমিক প্রবণ, আবেগী অসংযমি এ ধরনের বিশেষণ নামের সাথে জুড়ে দেয়া হচ্ছে। একটা লেখা পড়লাম এক ভদ্রলোক কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কেন সে নার্গিসকে বিয়ের রাতে ছেড়ে চলে গেলেন ঘরজামাই থাকলে কি সমস্যা ছিল যেখানে কিনা তার নিজেরই বসবাস করার জন্য কোন ঘর ছিল না। সন্তানদের খাবার ,চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেননি এমনকি দারিদ্রতার জন্য সে তার নিজের চিকিৎসাই করতে পারেননি। এই ধরনের কিছু প্রশ্ন তিনি তুলেছেন।
আরও পড়ুনঃ কলাপাড়ায় শতাধিক গরীব মানুষ পেল মধুমাসের ফল
এতদিন পরে একজন জাতীয় কবি কে নিয়ে এই ধরনের লেখা আমি অন্ততপক্ষে কামনা করিনি। কবি তার জীবন কাটিয়ে গেছেন ।আপনি সমালোচনা করে চাইলেও তার জীবন বদলে দিতে পারবেন না। যে মানুষটি সবার মাথার উপরে আছেন আপনি চাইলেই তাকে টেনে নিচে নামাতে পারবেন না।
কবি সাহিত্যিকগণ কিছুটা আত্মভোলা না হলে তারা এভাবে সাহিত্যে নিবেদিত হতে পারতেন না। যুদ্ধে যেতে পারতেন না ।সংসারের মায়ায় স্বার্থপরের মত নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। তাহলে এত জ্বালাময়ী উদ্দীপনাময়ী বিদ্রোহী রণ সংগীত রচিত হতো না। সবাই সব কিছু পারে না। জীবনকে ভালবাসলে তার দ্বারা রণক্ষেত্রে হুংকার দিয়ে কামানের মুখে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াতে পারতেন না।
আমাদের এই জেনারেশন বাংলা সাহিত্য সম্বন্ধে কতটুকু জানেন। তেমন কিছুই জানে না। আমি মনে করি এত বছর পর তাদের ব্যক্তি জীবন নিয়ে কথা না বলাই উত্তম। সমালোচনার নামে তাদের অসম্মান করার অধিকার কারো নেই। তারা সমালোচনার বহু ঊর্ধ্বে সুতরাং থেমে যান।