শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনমঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসডিএফ’র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত নেত্রকোনা জেলা জজ কোর্টে আইন ছাত্র ফোরাম পরিচিতি সবা অনুষ্ঠিত হয় ময়মনসিংহে বিটিভির নতুন কুঁড়ি-২০২৫ প্রচার কৌশল সভা অনুষ্ঠিত গাবতলীতে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত এমপি প্রার্থী গোলাম রব্বানীর মতবিনিময় নোয়াখালী বিএনপির আহবায়ক আলো ও সদস্য সচিব আজাদ এর বিরুদ্ধে মিছিল সেনবাগে বিএনপির বিজয় মিছিলে হামলা, যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ৩১ দফা বিতরণ করতে রৌমারীতে রাজিবপুর উপজেলার বি এন পির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ মোখলেসুর রহমান বদলগাছীতে সরকারি রাস্তার প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী মনের আশা পূরণ করি- এম এ রউফ ২১ হাজার টাকার ফেনসিডিল ও মোটর সাইকেলসহ আটক ১ বদলগাছী বিনিময় সম্পত্তি জবরদখলের হুমকি অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ! চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোলাম জাকারিয়ার গণসংযোগ কার্যক্রমে লিফলেট বিতরণ নাসিরনগরে ব্রীজ নয়,যেন মরণ ফাঁদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম ফিলাপ ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহ কলেজ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি মনোহরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উদোগে ঈদে মিলাদুন নবী উদযাপন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সকল প্রার্থীদের তালিকা  এনওয়াইপিডির ডেপুটি ইন্সপেক্টর পদোন্নতিতে কারাম চৌধুরীকে সংবর্ধনা জানিয়েছে “জীবন” গোমস্তাপুরে ফেক আইডি ও তার অনুসারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা এজাহার মনিরুলের শাস্তির দাবি সাংবাদিক সমাজের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো কর্তব্যনিষ্ঠা, জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, আল্লাহভীরুতা ও সততা বজায় রাখা, পরিশ্রমী ও কর্মঠ হওয়া, রাজবাড়ীতে পুলিশের ওপর হামলা: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৫

আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস

রিপোর্টার নাম
পাবলিশ: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আজ ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী দিবস যা ২৬৮ বছর পূর্বে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে যুদ্ধে স্বাধীন বাংলার নবাব ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হয়।ফলে প্রায় ২০০ বছরের জন্য বাংলা স্বাধীনতা হারায়।

আরও পড়ুনঃ সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনায় কাজ করুন” — জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম

এই দিনটি শুধু একটি যুদ্ধের দিন নয়, বরং এটি ছিল বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্যাস্ত। পলাশীর প্রান্তরে সংঘটিত যুদ্ধটি আমাদের ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র, দুর্ভিক্ষ ও উপনিবেশিক শাসনের নির্মম শিকল পরার শুরুর দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে। যুদ্ধটি ছিল মূলত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের লড়াই। যদিও নবাবের সৈন্যসংখ্যা ছিল অনেক বেশি, তথাপি বিজয় অর্জন সম্ভব হয়নি।

এই পরাজয়ের পেছনে ছিল একটি ঘৃণ্য বিশ্বাসঘাতকতা। নবাবের সেনাপতি মীর জাফর, ধনকুবের জগৎ শেঠ, এবং কূটকৌশলী রায় দূর্লভ ও ওমিচাঁদ — এরা ব্রিটিশদের সঙ্গে গোপন সন্ধি করে সিরাজউদ্দৌলাকে বিভ্রান্ত ও একঘরে করে ফেলেন।

ইতিহাস জানায়, মীর জাফর পরে নিজেই ব্রিটিশদের রোষানলে পড়ে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং নির্জন একাকীত্ব ও লজ্জায় তার মৃত্যু ঘটে। বাকিরাও বিভিন্নভাবে অপমানিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হন। ইতিহাস কখনো বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করে না — তাদের পরিণতি হয় সর্বদা করুণ।

পলাশীর যুদ্ধের মাত্র এক দশক পরেই ১৭৬৯-৭০ সালে বাংলায় ঘটে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যা ১০ মিলিয়ন (এক কোটির বেশি) মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। যেখানে পলাশীর পূর্বে বাংলা ছিল বিশ্বের জিডিপির প্রায় ১৪% যোগানদাতা, সেখানে এই যুদ্ধের ১২-১৫ বছরের মধ্যেই বাংলা পরিণত হয় ক্ষয়িষ্ণু, নিঃস্ব ও মৃতপ্রায় ভূমিতে।

ব্রিটিশরা বাংলা থেকে সম্পদ শুষে নিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। তাঁতশিল্প ধ্বংস করে দেওয়া হয়, কৃষকদের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। মনে করা হয়, পলাশীর যুদ্ধই ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশের মূল ভিত্তি স্থাপন করে দেয়।

পলাশী দিবস শুধুমাত্র অতীত স্মরণের দিন নয় — এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্কবার্তা। ঐক্যহীনতা, নেতৃত্বহীনতা, ও বিশ্বাসঘাতকতার কী নির্মম মূল্য দিতে হয় — তারই চরম দৃষ্টান্ত পলাশী।

আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক — নিজের মাটি, নিজের ইতিহাস, ও নিজের অধিকার রক্ষায় একতাবদ্ধ থাকা।

 

প্রতি বছর সে জন্য ২৩ জুন পলাশী দিবস হিসাবে পালিত হয়।১৭৫৭ সালের এইদিনে নদিয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে রবার্ট ক্লাইভ, মীরজাফর, রায়দুর্লভ, ইয়ার লতিফ চক্র এই কালো দিবসের জন্ম দেয়।


এই বিভাগের আরও খবর