আবুল কালাম আজাদঃ
এসো বিদ্রোহী হই
★
আবুল কালাম আজাদ
জন্ম থেকেই লড়তে শিখেছি,
লড়েছি তারও আগে,
বারূদের ঘ্রাণ তাইতো এখন
খুব স্বাভাবিক লাগে !
লাশ দেখেছি ঝুলন্ত,বিক্ষত
অথবা বিকৃত, ছাই ;
অকালে হারায় নিষ্পাপ মুখ,
কত শত বোন ভাই !
দেখে দেখে হই বিদ্রোহী আমি !
পাপী তাপী শয়তান
বেসুর গলায় গান গায় সব ,
মানেনা জানের তান !
রক্ত ঝরিয়ে ওরা পোড়ামুখে
অস্থি মজ্জা খায়,
ওদের মুখের নীতিকথা শুনে
লজ্জাও লজ্জা পায় ।
সূর্যটাকে মেঘে ঢেকে দেয়
বিদঘুটে সব আবেগ,
মেঘের পরে মেঘ দেখে তাই
দূর্বার করেছি বেগ !
যারা সমাজের স্টিয়ারিং ধরে
তারা বেশী ভাগ উল্লুক,
দেখে শুনে মন বিদ্রোহ দহনে
হয়েছে ভীষণ উন্মুখ !
আরও পড়ুনঃ নীল পতাকার ছায়ায় ঢাকা এক অদৃশ্য শক্তির নীরব অগ্রযাত্রা
গ্রাফিতি দেখে, জ্যামিতি আঁকে,
সভ্যতার কত দাবীদার,
আমজনতা গিনিপিগ করে,
নিজে ভাবে শুধু ভাগীদার !
আমরা ওদের বিদ্রোহী হয়ে
সুখ দিতে চাই ছড়িয়ে,
চোর লুটেরার অট্টালিকার
ভিত দিতে চাই নড়িয়ে !
বুমেরাং করে অস্ত্র তাদের
দুনিয়া সাজাবো আমরা ,
প্রতিঘাতে ওদের পিছু হটাবো,
শক্ত যাদের চামড়া ।
লোভে পাপে ওরা মত্ত হয়ে
পরিসীমা যায় পেরিয়ে,
হিরোশিমা সে জিরো বিবেকের
নিরব স্বাক্ষী দাঁড়িয়ে !
আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গৌরবময় অর্জন: আল-আজহারের সেরা ১০-এর তালিকায় অর্ধেকই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
বিভৎসতার খেলা খেলে খেলে
কমেছে কুরুর রোষ কি ?
সেই কুরুখেলার বিরুদ্ধে কেউ
উন্মাদ হলে দোষ কি ?
বারুদ হলে বিদ্রোহবাহক
কারো কোনোরূপ দোষ নাই,
এই বিদ্রোহে হয়ে যাক আজ
সারা দুনিয়া রোশনাই !
তৃতীয় বিশ্বের অভাগা মায়ের
আমি অভাবী সন্তান,
মরণ সতত হাতছানি দেয়,
নাই কিছু তাই পিছটান !
আকাশ খেয়ে বাতাস খেয়ে
নর্দমা যারা গিলে খায়,
তাদের খাওয়া শেষ হবে না
যতক্ষণ না গুলি খায় !
আরও পড়ুনঃ ডাক্তার পি.সি. পাল (পরেশ চন্দ্র পাল) মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ চিকিৎসক
ভুখানাঙা হাত ঢাল হোক আজ,
মনোবল হোক তলোয়ার,
বিদ্রোহ ছাড়া শির উঁচু করার
কি পথ আছে বলো আর ?
বিদ্রোহী ছিলেন ভাসানী,নিযামী,
জিয়া খুদিরাম, নজরুল,
মহতিদের মতো বিদ্রোহী হওয়া
তোমার আমার নয় ভুল ।
চুল চেরা কত হিসাব কষেছি
ভুল হিসাবের শেষ নাই,
মূলকথা তার দেখি লাগাতার
স্বস্তির পরিবেশ নাই।
তাই এসো ভাই বিদ্রোহী হই
তুমি আমি আরও সকলে,
তা না হলে সব শেষ হয়ে যাবে ধকলের পরে ধকলে !