নুর ইসলাম নোবেল, ষ্টাফ রিপোর্টার:
গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) রংপুর মহানগর শাখার ৪৫ সদস্যের আংশিক আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এ কমিটিতে সৈয়দ গাফফারুল ইসলাম কে আহব্বায়ক প্রকৌশলী মো.ইয়াছিন আলি কে সদস্য সচিব এবং মো.আল ইমরান কে ১ নং যুগ্ন আহব্বায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের যৌথ স্বাক্ষরে দলীয় প্যাডে আগামী এক বছরের জন্য এই আংশিক মহানগর কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত আহব্বায়ক সৈয়দ গাফফারুল ইসলাম বলেন, “আপনারা জানেন, গণঅধিকার পরিষদ সবসময় সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেশের মানুষ লক্ষ্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ *মসজিদ শুধু আল্লাহর জন্য: কুরআনের নির্দেশ ও আজকের বাস্তবতা*
আমরা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে উঠে এসে মানুষের মৌলিক অধিকার ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।এই কাঠামোতে স্থান পেয়েছেন আমাদের সংগ্রামী, ত্যাগী, আদর্শনিষ্ঠ, সৎ ও পরীক্ষিত নেতৃত্বগণ যারা বিগত কয়েক বছর ধরে ১৮-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০-এর ছাত্রগণজাগরণ, ২১-এর বিক্ষোভ-প্রতিরোধ, ২২-এর সংগঠন পুনর্গঠন এবং ২৩-২৪-এর গণঅভ্যুত্থান—প্রতিটি পর্যায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে এসেছেন।
আমার অন্তর এর অন্তরস্থল থেকে সকলে সাধুবাদ জানাই সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে,যারা আজকের এই কাঠামোর মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন রংপুর মহানগরকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।এই কমিটি কেবল একটি কাঠামো নয় এটি রংপুরবাসীর অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একটি নতুন যুগের সূচনা।আমরা আশাবাদী, এই নেতৃত্ব রংপুরে গণঅধিকার পরিষদকে আরও বেশি গণভিত্তির, কার্যকর ও জনআস্থার সংগঠনে রূপান্তরিত করবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা যারা পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পক্ষে—
আমরা যারা জাতি ও রাষ্ট্রের অধিকার আদায়ে আপসহীন পথের যাত্রী
তাদের প্রত্যেকের কাছে এই কাঠামো হবে ভরসার প্রতীক ও সংগ্রামের ছায়া।
আরও পড়ুনঃ গাবতলী মাদক দ্রব্য এবং অপকর্মের দ্বায়েহাতে নাতে আটক হলোপ্রতিবন্ধী সিপন
সংগ্রামে যারা সামনে ছিলেন, ভবিষ্যতেও তারাই নেতৃত্বে থাকবেন—এটাই গণঅধিকার পরিষদের বৈশিষ্ট্য।আগামী দিনেও এই লক্ষ্য সামনে রেখেই আমরা সংগঠনকে এগিয়ে নেব ইনশাআল্লাহ।সেই সাথে অবহেলিত রংপুর কে এগিয়ে নিতে এবং সিটি কর্পারেশন এর পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দে এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করতে এবং রংপুর মেডিকেলের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নে এই কমিটি প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি পাশাপাশি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, “এই কমিটির নেতৃত্বে রংপুর মহানগর শাখা সুসংগঠিত ও বলিষ্ঠভাবে অগ্রসর হবে। আমরা খুব শিগগিরই মহানগরের ৩৩ টি ওয়ার্ড ও ৬ টি থানায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যক্রম বিস্তৃত করবো এবং ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো গঠন করবো।”
এদিকে নবগঠিত মহানগর কমিটিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।ছাত্র,যুব,শ্রমিক ও পেশাজীবি ইউনিট পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা কমিটির প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং আশা করছেন,এই কমিটির হাত ধরে সংগঠন আরও গতিশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন তৃনমুল এর নেতাকর্মীরা।