মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের মাস্টার প্লান সম্পর্কিত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রবিবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস এর হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল’র সভাপতিত্বে প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পায়রা বন্দরের মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি এর টিম লিডার মেনো মুইজ।
অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দরের মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের উপর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন বুয়েট টিমের লিড কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুনঃ গোবিন্দগঞ্জ থানার নতুন পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে পবিত্র কুমারের যোগদান
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারী-অংশীজন, মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডের রয়্যাল হাসকোনিং ডিএইচভি এর প্রতিনিধিগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার
প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ হতে মাস্টার প্ল্যান ও সামগ্রিকভাবে পায়রা বন্দরের অগ্রগতি বিষয়ক মন্তব্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল। তিনি ২০২৬ সালের জুলাই মাস হতে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল অপারেশনাল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার প্রস্তুতি ও সহযোগিতা আহবান করেন। এছাড়া ড্রেজিংসহ অত্যাবশ্যক কয়েকটি কাজ সম্পাদনে তিনি সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯৩% চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও রপ্তানি খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে। যার ফলে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।