সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনমঃ
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে দোয়া মাহাফিল বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার অন্তর্গত নেপালতলী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের পাশে নেপালতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্থাপন কুমিল্লায় সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ ওপর হামলা,আসামি গ্রেপ্তারে প্রশাসন হার্ডলাইনে সাতক্ষীরা ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন (সিআরবি) শাখার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির সভাপতির কন্যা প্রিয়ন্তীর মানবিক ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নঃ সাতক্ষীরার বারে মিষ্টিমুখের উৎসব লামায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত রাজিবপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সোহাগ হত্যা মামলার আরও দুই আসামি গ্রেফতার বগুড়া গাবতলী ৯ নং নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক ভুয়া প্রত্যয়ন পত্র প্রধান জুলাই বিপ্লবের আবশ্যিকতা:- পর্ব ০৩ বীরগঞ্জে শতগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ যদি আপনার ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল করতে চান এবং সুন্দর করতে চান তবে মানসিকতার পরিবর্তন করুন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক গ্রামে এক সৌদীআরব প্রবাসীর বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও ২০ লাখ টাকা লুটপাট আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের ঈদ পূর্ণমিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নাটকীয় ম্যাচে কয়েক সেকেন্ড পূর্বেই তৃষ্ণার গোলে শেষ হাসি হাসল বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি মো.আব্দুল হাই এর অবস্থা অবনতি হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি আমরা বদলে গেছি ১৯৫ টা দেশ সাবেক চলমান রেমিট্যান্স যোদ্ধা পরিবার ৯ কোটি রূপসী পাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি একজনও বগুড়া’র সোনাতলায় সেনাবাহিনীর অভিযান: নকল তামাক কারখানায় ৪ জন গ্রেফতার! বগুড়া গাবতলী একজন প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য বাবার আকুল আবেদন বাড়িতে প্রবেশ করার রাস্তাটি একটু প্রশস্ত করা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যেন একটা মাফিয়া সংগঠন

রিপোর্টার নাম
পাবলিশ: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যেন একটা মাফিয়া সংগঠন। এই সংগঠনের প্রতিটি পরতে পরতে দুর্নীতি জড়িয়ে আছে। গ্রাউন্ড হ‍্যান্ডলিং, ট্রেইনিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্লাইট অপারেশন, ইত্যাদি — প্রতিটি বিভাগেই আছে সংঘবদ্ধ একেকটা অপরাধ চক্র। এদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নিতে ব‍্যর্থ হয়েছে প্রতিটি সরকার। কারণ এদের চক্র কেবল দেশেই সীমাবদ্ধ নেই। আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সাথেও রয়েছে এদের সখ‍্যতা। একটি দেশের ফ্ল‍্যাগ ক্যারিয়ার যারা অপারেট করেন, সেই পাইলটদের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে নারী সহকর্মীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ। এনোনিমাস হ্যাকার গ্রুপের কাছে বিদেশের হোটেল কক্ষে নারী সহকর্মীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একজন পাইলট এমন সিসিটিভি রেকর্ডও রয়েছে। চলন্ত উড়োজাহাজে জোর পূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন পাইলট, এমন দাবিও তাঁরা করেছেন। এমন অসংখ্য অভিযোগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার পরও বিমান কর্তৃপক্ষ নির্বিকার থেকেছে। লোক দেখানোর জন্যে ৩/৪ মাসের জন‍্যে কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও, পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে গেলে গোপনে অভিযুক্তকে চাকরীতে পুনর্বহাল করা হয়ছে, এমন উদাহরণ রয়েছে। আর অভিযোগ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাকরী হারাতে এবং সামাজিকভাবে হেয় করা হয় ভুক্তভোগীকে। বিমানের পাইলটদের মাঝে রয়েছে দুটি ভাগ, একপক্ষ হলো — পাইলট বংশ, আরেক পক্ষ — সাবেক বিমান বাহিনী কর্মকর্তা চক্র। এই পাইলট বংশরা বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের 'অচ্ছুত' বা নিচু জাতের বলে ট্রিট করেন। তাঁরা মনে করেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপর রয়েছে তাঁদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিকার। এই চক্র নিজ পুত্র-কন‍্যা-শ‍্যালিকা-শ‍্যালক-দুলাভাই-কাজিন সহ সকলকে এনে ঢুকিয়েছে বিমানে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে বিমানের এক পাইলট দুইবার তাঁর পাইলট স্ত্রীর জাল শিক্ষা সনদ দিয়েও একপ্রকারের পার পেয়ে গেছেন। এরাই মূলত বিমানের অপারেশনের ভাগ্য নির্ধারণ করে। বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও কম নন, তাঁরাও বিমানকে ঘিরে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্র, যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য তাঁদের। কিন্তু সকল পক্ষই এক হয় যখন চোরাচালান সংঘটিত হয়। সাধারণত বড় চোরাচালানে সকল পক্ষ এক হয়, যেমন ধরুন লাশের কফিন বলে স্বর্ণ ঢুকিয়ে কেবল কফিন নিয়ে আসা, কফিনের ভেতরে লাশের বদলে থাকে স্বর্ণ — এমন বহুকিছু ঘটেছে বলেই দাবি করা হয়েছে। বিমানের বিষয়ে সরকারের কোন সংস্থাই তদন্ত করে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কারণ বিমানের এই পান্ডারা দাবি করে 'দেশের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারে বদনাম করে নাকি বিশেষ গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ও ক্ষমতায় থাকা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে', এমনটাই চলছে যুগের পর যুগ ধরে। কিন্তু সকল অপকর্মই একটা সময় উন্মোচিত হয়ে যায়, সম্ভবত তেমনটাই একসাথে ঘটতে চলেছে বিমানের এই ক‍্যান্সারাস চক্রের সাথে। (আল জাজিরা)

ফ্রান্স থেকে সুমনঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যেন একটা মাফিয়া সংগঠন। এই সংগঠনের প্রতিটি পরতে পরতে দুর্নীতি জড়িয়ে আছে। গ্রাউন্ড হ‍্যান্ডলিং, ট্রেইনিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্লাইট অপারেশন, ইত্যাদি — প্রতিটি বিভাগেই আছে সংঘবদ্ধ একেকটা অপরাধ চক্র।

এদের বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা নিতে ব‍্যর্থ হয়েছে প্রতিটি সরকার। কারণ এদের চক্র কেবল দেশেই সীমাবদ্ধ নেই। আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সাথেও রয়েছে এদের সখ‍্যতা।

একটি দেশের ফ্ল‍্যাগ ক্যারিয়ার যারা অপারেট করেন, সেই পাইলটদের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে নারী সহকর্মীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ। এনোনিমাস হ্যাকার গ্রুপের কাছে বিদেশের হোটেল কক্ষে নারী সহকর্মীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন একজন পাইলট এমন সিসিটিভি রেকর্ডও রয়েছে।

চলন্ত উড়োজাহাজে জোর পূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন পাইলট, এমন দাবিও তাঁরা করেছেন। এমন অসংখ্য অভিযোগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার পরও বিমান কর্তৃপক্ষ নির্বিকার থেকেছে। লোক দেখানোর জন্যে ৩/৪ মাসের জন‍্যে কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও, পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে গেলে গোপনে অভিযুক্তকে চাকরীতে পুনর্বহাল করা হয়ছে, এমন উদাহরণ রয়েছে।

আর অভিযোগ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চাকরী হারাতে এবং সামাজিকভাবে হেয় করা হয় ভুক্তভোগীকে। বিমানের পাইলটদের মাঝে রয়েছে দুটি ভাগ, একপক্ষ হলো — পাইলট বংশ, আরেক পক্ষ — সাবেক বিমান বাহিনী কর্মকর্তা চক্র।

আরও পড়ুনঃ ‌পানছড়িতে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বিজিবি

এই পাইলট বংশরা বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের ‘অচ্ছুত’ বা নিচু জাতের বলে ট্রিট করেন। তাঁরা মনে করেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপর রয়েছে তাঁদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিকার। এই চক্র নিজ পুত্র-কন‍্যা-শ‍্যালিকা-শ‍্যালক-দুলাভাই-কাজিন সহ সকলকে এনে ঢুকিয়েছে বিমানে।

এমন ঘটনাও ঘটেছে যে বিমানের এক পাইলট দুইবার তাঁর পাইলট স্ত্রীর জাল শিক্ষা সনদ দিয়েও একপ্রকারের পার পেয়ে গেছেন। এরাই মূলত বিমানের অপারেশনের ভাগ্য নির্ধারণ করে। বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও কম নন, তাঁরাও বিমানকে ঘিরে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্র, যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য তাঁদের।

কিন্তু সকল পক্ষই এক হয় যখন চোরাচালান সংঘটিত হয়। সাধারণত বড় চোরাচালানে সকল পক্ষ এক হয়, যেমন ধরুন লাশের কফিন বলে স্বর্ণ ঢুকিয়ে কেবল কফিন নিয়ে আসা, কফিনের ভেতরে লাশের বদলে থাকে স্বর্ণ — এমন বহুকিছু ঘটেছে বলেই দাবি করা হয়েছে।

বিমানের বিষয়ে সরকারের কোন সংস্থাই তদন্ত করে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কারণ বিমানের এই পান্ডারা দাবি করে ‘দেশের ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ারে বদনাম করে নাকি বিশেষ গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ও ক্ষমতায় থাকা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে’, এমনটাই চলছে যুগের পর যুগ ধরে।

কিন্তু সকল অপকর্মই একটা সময় উন্মোচিত হয়ে যায়, সম্ভবত তেমনটাই একসাথে ঘটতে চলেছে বিমানের এই ক‍্যান্সারাস চক্রের সাথে। (আল জাজিরা)


এই বিভাগের আরও খবর