সাংবাদিক মোহাম্মদ আলমঃ
“বন্ধুত্বের দূরত্ব নেই”
আমাদের শৈশবের দিনগুলো ছিল ঠিক যেনো এক রঙিন স্বপ্ন। কাদা-মাটি, নদীর ঘাট, স্কুল পালানো, বিকেলে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়া—সবকিছুই ছিল প্রাণের মত আপন। সেই সময়ের বন্ধুদের কথা আজও মনে পড়ে, তবে যার কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, সে হলো আমাদের প্রাণের বন্ধু—জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী
আমরা সবাই ছিলাম ৮৬ ব্যাচের। স্কুল জিবনের সেই দুরন্তপনা আর একে-অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল আমাদের জীবনের সেরা সময় জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী ছিল আমাদের দলের সবচেয়ে চঞ্চল আর মজার ছেলে। দুঃখে-সুখে, পরীক্ষায় না পড়ে যাওয়ায়, প্রেমে ব্যর্থতায়—সব সময় পাশে থাকত।
আরও পড়ুনঃ গফরগাঁওয়ে নিখোঁজে ৫ দিন পর পাঁচ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার
কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকে না। জীবনের নানা একটা টিস্যু দাও একটা চা দাও জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী একদিন চলে গেলো অনেক দূরে, বিদেশে। শুনেছি এখন সে অনেক সুখে আছে, তার নিজের পরিবার, বউ-বাচ্চা নিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে জীবন। আমরা মাঝে মাঝে তার ফেসবুক পোস্টে দেখি হাসিমুখ, ছেলেমেয়ের স্কুল ডে, স্ত্রীর সঙ্গে ডিনার। মনে হয়, ওর জীবনটা এখন সত্যিই পরিপূর্ণ।
আমরা, ৮৬ ব্যাচের বন্ধুরা, এখনও প্রতি রমজানে, ঈদে, পিকনিকে একসাথে হই। জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী নেই, কিন্তু ওর গল্প থাকে। ওর স্মৃতি থাকে। আর আমরা সবাই একসাথে বলি জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী জন্য দোয়া করি। আল্লাহ ওকে আরও সুখী রাখুক। ওর বউ, বাচ্চাদের যেনো ভালো রাখে।
কখনো যদি জাহাঙ্গীর কোবির চৌধুরী ফিরে আসে, আমরা ঠিক আবার দল বেঁধে বসবো। পুরনো গান গাইবো। হয়তো পুকুরপাড়ে আবার গল্প হবে। আর তখন বুঝবো—বন্ধুত্ব দূরত্ব মানে না। হৃদয়ের বন্ধন কখনো ফিকে হয় না।