গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর বিএনপির ৪৭ নং ওয়ার্ড ও শিলমুন গ্রামবাসীর উদ্যোগে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে শিলমন আব্দুল হাকিম মাস্টার স্কুল রোড এলাকায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজ মণ্ডল।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও টঙ্গী সরকারি কলেজের বিপি সরাফাত হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম বাটসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাউদ্দিন সরকার বলেন,গত ১৭ বছর ধরে গাজীপুরে আমরা কখনোই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারিনি। তবে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের মাঝে আর কোনো ভয় নেই। তাই আমরা আজ দৃঢ় মনোবল নিয়ে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করছি।
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকার আরও বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কেবল দেশের অভ্যন্তরেই নয়,আন্তর্জাতিক পরিসরেও একজন সৎ, দক্ষ ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সুচিন্তিত কর্ম ও নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থানে পৌঁছে দিয়েছিল।
তিনি সৌদি আরবে আরাফাত ময়দানে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তাঁর নামে একটি রাস্তার নামকরণ আজও তাঁর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সাক্ষ্য বহন করে।
শুধু তাই নয়, মুসলিম বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বিরোধী নীতিতে জিয়াউর রহমান ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে তাঁর অবদান আজও স্মরণীয়।
আলোচনা সভার শেষে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।