সাতক্ষীরা জেলা ব্যুরো চীপ
তাং ০৮/০৬/২০২৪ ইং রোজ শনিবার,সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ ঠিকমতো চিকিৎসা না দিয়ে চিকিৎসার নামে করছে হয়রানি,
সড়ক দূর্ঘটনায় আহত শিশুকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেলের দায়িত্বরত কর্মকতা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যাই,৮ই জুন ২০২৪ শনিবার বিকাল আনুমানিক ৫ঘটিকার সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ঢালী পাড়া সংলগ্ন সাতক্ষীরা টু ভোমরা মহা সড়কে ব্রয়লার মুরগী বহনকারী ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন ঐ এলাকার ইমাম হোসেন মজনুর ৫ বছরের শিশু পুত্র হুসাইন,খবর পেয়ে ইমাম হোসেন মজনু হুসাইনকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা হুসাইনকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলে। ইমাম হোসেন মজনু হুসাইনকে সাতক্ষীরা মেডিকেলের সিটি স্ক্যানের পরীক্ষা করাতে গেলে সিটি স্ক্যান রুমের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আগে দুই হাজার (২০০০) টাকা জমা দিতে বলে। তখন ইমাম হোসেন মজনু তাদেরকে বলেন এই মূহূর্তে আমার কাছে টাকা নেই আপনারা পরীক্ষা করতে থাকেন, আমি কিছুক্ষণের মধ্যে এসে টাকা জমা করে দিচ্ছি। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন প্রকার পরীক্ষা করাতে পারবে না বলে সাব জানিয়ে দেন মেডিকেল কতৃপক্ষ অন্যদিকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন প্রকার চিকিৎসা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন জরুরী বিভাগের কর্মকর্তারা। এদিকে হাসপাতালের বারান্দায় ভীষণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ৫ বছরের শিশু হুসাইন, এমন অমানবিক কর্মকান্ড দেখে ঐ সময় মেডিকেলে ঊপস্থিত থাকা সাধারণ মানুষ ও মেডিকেল কতৃপক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তবে এক সূত্রে জানা যাই, সাতক্ষীরা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে প্যাথলজী বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে একটা যোগসাযোগ রয়েছে, যার ফলে প্রায়ই তারা সাধারণ মানুষকে এমন ট্রাপে ফেলে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে।