আরাফাত রহমান, স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া:
বগুড়ায় সুদের কারবারি রোকেয়া বেগম সুদ হিসেবে টাকা প্রদানের জামানত হিসেবে ব্যাংক চেক নিয়ে জিম্মি করে অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পরে আদালতে প্রেরণ করে।
বগুড়ায় সুদের ব্যবসায়ী রোকেয়া বেগম সুদ প্রদানের শর্তে টাকা প্রদানের পর ব্ল্যাংক ব্যাংক চেক নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নেওয়া ব্যক্তিকে জিম্মি করে আরো অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
গত শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশ বগুড়া শহরের উত্তর চালোপাড়া সান্দার পট্টি এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রোকেয়া বেগম ওই এলাকার মজনু মিয়ার স্ত্রী। পুলিশ শুক্রবারই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। বগুড়া শহরের দক্ষিণ কাঠনার পাড়ার খোকন বাসা এনায়েত আলী খান লেনের অনুপ কুমার সাহার রিতা সাহা্র বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত (২৫ মে) রিতা সাহা উক্ত সুদি কারবারি উত্তর চলো পাড়ার রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে সুদ দেয়ার শর্তে ৬ লাখ টাকা কর্য নেই।
আরও পড়ুনঃ জনাব মুন্সি আমান মিয়া: সাহসী নেতৃত্বের এক প্রতিচ্ছবি
ঐ কর্জের বিপরীতে জামানত স্বরূপ তিনটি ১০০ টাকা মূল্য মানের নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর করা দুইটি ব্ল্যাংক ব্যাংক চেক নেয়। দুই মাস পর টাকা ফেরত প্রদানের সময় ওই, ব্যাংক চেক এবং নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম ফেরত দেওয়ার শর্তে রকেয়া বেগম নিয়ে রাখে। দুই মাস পর রিটা সাহা ও তার স্বামী অনুপ কুমার সাহা গত ১৭ জুলাই শহরের খান্দার এলাকার মৃত তালেবানির ছেলে মাহমুদুল হাসান মাসুদ ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক বড় বলার শাখা ম্যানেজার এর সামনে করুণা কান্ত সাহার নামীয় ব্যাংক হিসাব হতে ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে এবং তার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা সব মিলে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা সূর্য বেগমকে পরিশোধ করেন।
এ সময় নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও দুটি ব্যাংক চেক ফেরতের কথা থাকলেও বেগম একটি চেক ভুল করে তার বাড়িতে ফেলে এসেছেন বলে জানায়। আর ওই চেক পরে ফেরত দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। উক্ত টাকা ফেরত প্রদানের সময় রোকেয়া বেগমের সাথে দুখু ব্যাপারীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম রেজাউল এর ছেলে রেহেল বেপারিসহ আরো দুই তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ছিলেন।
এরপর গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রিতা সাহা তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে কলেজ রোডে ঝামুন রেস্টুরেন্টে গেলে রোকেয়া বেগম রোকেয়া বেগম এল ব্যাপারী সুমনসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে এ সময় তারা সন্ধানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা তার কাছ থেকে দাবি করে । এবং বলে তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা ব্যাংক চেক ফেরত দেবে না।
তিনি তাদের দাবি কৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে মারপিট করে এবং ধরে নিয়ে দত্ত বারিস তো তার বাড়িতে আসে এবং বাড়ির দারোয়ানকে ধাক্কা মেরে ফেলেদিয়ে তারা বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে। এ সময় তারা বলে টাকা না দিলে তাকে ধর্ষণ করা হবে এবং হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে গাজী রূপ মহল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল রশিদ সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।