চট্টগ্রাম থেকে :
গত ১ সেপ্টেম্বর পাহাড় সুরক্ষায় গঠিত জোন কমিটি-৪ এর আহ্বায়ক ও কাট্টলি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসেইন মুহম্মদের নেতৃত্বে নগরের খুলশীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানের পাশাপাশি জালালাবাদের কাঁঠাল বাগান পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় কর্তনের ঝুঁকি থাকা বিভিন্ন এলাকাও পরিদর্শন করে জোন কমিটির প্রতিনিধিরা। এসব পুরো পাহাড়ি এলাকায় সবজি চাষের আড়ালে পাহাড় নিধন ও জনমানুষহীন কাঁচা বসতি তোলার মাধ্যমে পাহাড় মোচনের আলামত পরিলক্ষিত হয়।
এসময় পুরো এলাকায় অবৈধভাবে গভীর নলকূপ তৈরি করে সাবমার্সিবল মেশিনের মাধ্যমে শতাধিক স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পানি সরবরাহের বিষয়টি দেখতে পায় পরিদর্শনকারী দল।
এসময় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম ওয়াসার সাথে যোগাযোগ করে এবং এসব অবৈধ গভীর নলকূপ ধ্বংস করার মাধ্যমে পাহাড়ে অবৈধভাবে পানি সরবরাহের বাণিজ্য বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে জোন কমিটির কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তাও দেয়ায় কথা বলেন। এসব সুযোগ সুবিধা পাহাড়ে বিদ্যমান থাকায় পাহাড় নিধন বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অভিযানকালে জালালাবাদের মধু শাহ আস্তানার পাশে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহণ, জালালাবাদের পাহাড়গুলোতে অবৈধ পানির উৎসস্থল ধ্বংস করার জরুরি নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুনঃ গফরগাঁওয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালিত
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাহাড় সুরক্ষায় গঠিত জোন কমিটি-৪ এর সদস্য পরিবেশকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন, খুলশী থানার এসআই মোঃ: আনোয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স, খুলশী ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন প্রমুখ।
এদিকে খুলশী জালালাবাদে পাহাড় কাটা প্রতিরোধে পাহাড় সুরক্ষায় গঠিত জোন কমিটি -৪ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করায় কমিটিকে অভিনন্দন জানান, গ্রীন চট্টগ্রাম এ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব ও পরিবেশ সংগঠক স ম জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড় সুরক্ষায় এরকম অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হলে পাহাড় সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।