প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাটে ও ফেনী- চৌমুহনী খালের উপর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে।
সোমবার ( ১১ আগস্ট ) নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৭নং ইউনিয়নে অবস্থিত বানিজ্যিক কেন্দ্র সেবারহাটের উত্তর পাশে ফেনী- চৌমুহনী সরকারি খালের উপর অবৈধ দখল করে দোকানপাট, বাঁধ ও ব্রীজ নির্মাণের কারণে খালের পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সরেজমিনে গিয়ে খালের উপর দোকানপাট সরিয়ে নিতে বার বার তাগিদ দেয়া সত্বেও দোকানের মালিকরা কোন কর্ণপাত করেনি।
আরও পড়ুনঃ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করলেন ঝিনাইদহ-৪ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী মুর্শিদা জামান বেল্টু
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সরেজমিনে এসে খালের উপর দোকানপাট সরিয়ে নিতে ২সপ্তাহে সময় বেঁধে দিয়ে তাগিদ দেন।
সময় সীমা অতিক্রম হওয়ার কিছু দিন পর আজ খালের উপর অবৈধ দোকান ও স্হাপনা ভ্যাকু দ্বারা গুঁড়িয়ে জবরদখল উচ্ছেদ করেন এবং সেবারহাট হতে পশ্চিমে খালের উপর অবৈধ বাঁধ, ছমিরমুন্সীর হাটের মোহাম্মদীয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে ব্রীজ সহ ২টি ব্রীজ ভেঙ্গে দেন। সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান ছিল।
উচ্ছেদ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনবাগ ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন পারভেজ, লেফটেন্যান্ট মাহাদী ও চৌকস সেনা সদস্যগণ, সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মিজানুর রহমান ও পুলিশ ফোর্স।
আরও পড়ুনঃ গলাচিপায় গণ অধিকারের পক্ষ থেকে ৯০০ মানুষের মাঝে রেইনকোর্ট বিতরণ
এসময় স্হানীয় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালীন সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে জানান, সেনবাগের প্রতিটি খাল ও সরকারি জায়গায় অবৈধ জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।