সুমন, ফ্রান্স থেকেঃ
গল্পটি পড়ুন ভালো লাগবে………..
একদিন জঙ্গলের ধারে নদীর পাশে এক শিয়াল আর এক কুমিরের দেখা হয়। কুমির ছিল গম্ভীর, কিন্তু চতুর শিয়ালের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। বন্ধুত্ব দিনে দিনে গভীর হয়।
একদিন শিয়াল কুমিরকে বলে,”ভাই কুমির, আমার একটা অনুরোধ আছে। আমার ছেলেটা একটু বোকাসোকা ধরনের। যদি তুমি তাকে একটু লেখাপড়া শেখাও, বড় হয়ে বুদ্ধিমান হবে।”
কুমির তো রাজি!
সে বলে,”নিশ্চয়ই! তোমার বাচ্চাকে নিয়ে এসো। আমি যতটুকু জানি, সব শেখাবো।” শিয়াল খুব খুশি হয়ে তার ছেলেকে কুমিরের কাছে রেখে আসে।
কিন্তু কুমির ছিল ধূর্ত ও লোভী। সে লেখাপড়া শেখানোর বদলে শিয়ালের বাচ্চাটিকে খেয়ে ফেলে।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কালিগঞ্জ শাখা
এরপর শিয়াল যখন ছেলেকে দেখতে আসে, কুমির জলের মধ্যে একটি বাচ্চার খুলি ভাসিয়ে দিয়ে বলে, “তোমার ছেলে তো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছে, তাই এখন বিশ্রামে আছে।”
শিয়াল সন্দেহ করে, কিন্তু নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে পারে না।
পরদিন আবার যায়, তখনও কুমির একটা হাড় বা খুলির টুকরো দেখিয়ে বলে, “আজ তাকে খুব কঠিন পাঠ শেখালাম। এখন বিশ্রাম নিচ্ছে।”
এভাবে দিনের পর দিন কেটে যায়। কুমির প্রতিবারই কোনো না কোনো অজুহাতে শিয়ালকে সন্তুষ্ট করে।
একদিন শিয়াল নিজের চোখে দেখলো কুমির এক বাচ্চার হাড় নিয়ে খেলছে। হাড় দেখে সে চিনে ফেলে এ তো তারই সন্তানের!
শিয়ালের চোখে পানি চলে আসে। কিন্তু সে কাঁদে না। শান্তভাবে বলে, “ভাই কুমির, তুমি তো শুধু শিক্ষক নও, তুমি এমন এক গুরু, যার পাঠ ছাত্রকে খেয়ে হজম করেও থেমে থাকো না! তোমার জ্ঞান তো গলা দিয়ে নিচে নেমে গেছে!”
এরপর শিয়াল ফিরে যায় মনে দুঃখ, কিন্তু মাথা উঁচু করে।
নীতিকথা: সব সময় বন্ধু নির্বাচন বুঝে-শুনে করতে হয়। অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে, তার পরিণতি হয় ভয়ংকর