এম বাদল খন্দকার (বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামের মাদক সম্রাজ্ঞী পারুল বেগমের মাদকের রমরমা ব্যবসা।
সে ধর্মতীর্থ গ্রামের ফজল মিয়ার মেয়ে। তার ছোট বেলা থেকে তার মায়ের হাতে মাদক ব্যবসার উত্থান। তার মায়ের মৃত্যুর পর পুরোপুরি মাদকব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পারুলের হাতে চলে যায়।সে একাধিক ম্যনাজার রেখে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কদমতলির এলাকার ম্যানাজার সুবল কর নিয়ন্ত্রণ করে গাঁজার ব্যবসা।
বিভিন্ন বয়সী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,পারুলের স্বামী আনু মিয়া বাড়ি কূট্রাপাড়া,সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। পারুলের মাদকের মাল আনা নেওয়া সহ সব কিছু দেখা শুনা করে এই মাদক কারবারি আনু মিয়া। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। পারুলের নামেও মামলা রয়েছে।
একসময় গরীব অসহায় পারুল বেশ কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা সহ অনেক ব্যবসায় মাদকের টাকা ইনবেষ্ট আছে। জনমনে শুনা যায় সে এখন কোটি টাকার কাছাকাছি সম্পদ আছে। তাঁর মাদক ব্যবসা মূলত গাঁজা। পাশাপাশি ইয়াবার ব্যবসা করে।
প্রশাসনের কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকার পরও তাকে গ্রেফতার করছে না,এই ব্যাপারে জনমনে হতাশা বিরাজ করছে।
সে বলে বেড়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
এই ব্যাপারে কালীকচ্ছ বিটপুলিশ অফিসার সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন জানান তাকে ইতিপূর্বে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জামিনে বেরিয়ে আবার পূনরায় ব্যবসায় জড়িত হওয়ার খবব পাচ্ছি। তাকে গ্রেফতার করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএনজি ড্রাইভার জানান,পারুলের ব্যবসা বন্ধ নাই,সে জেলে গেলেও তার একাধিক লোকজন দ্ধারা মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা অতি দ্রুত তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছে।