নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা, সংঘাত ও সম্ভাবনার এক সমান্তরাল চিত্র তুলে ধরে। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে গণতন্ত্রের পথচলা মসৃণ না হলেও, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের গল্প রাজনীতির কেন্দ্রে থেকেছে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে ধারাবাহিক বিভাজন ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তা দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
প্রথমত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলীয় বিভাজন ও শত্রুতার মাত্রা উদ্বেগজনক। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আস্থার সংকট, সংলাপের অভাব এবং রাস্তায় উত্তপ্ত সংঘাত রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুনঃ প্রভাবশালী ছাত্র দল নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার
দ্বিতীয়ত, নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলোতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা প্রায়শই রাজনৈতিক আলোচনাকে প্রভাবিত করে। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদী ও সচেতন। যুবসমাজ, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার ভূমিকা গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত রাখতে সহায়ক। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি সংঘাতের পথ ছেড়ে সংলাপ, সমঝোতা এবং নাগরিকদের প্রয়োজনে মনোনিবেশ করে, তবে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আইনের শাসন একটি রাজনৈতিক আদর্শ
রাজনীতি কেবল ক্ষমতার লড়াই নয়—এটি জনগণের সেবা ও দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের মাধ্যম। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের উচিত অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বরের মূল্য থাকবে।
আফজাল হোসেন যুব সংগঠন যুগ্ন মহাসচিব বাংলাদেশ সর্বজনীন দল কেন্দ্রীয় কমিটি