শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

“আজহার ঘৃণার মুখপাত্র”—না, তোমাদের দাসত্বের আয়নায় ভাঙা সত্যের প্রতিচ্ছবি

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ানঃ / ৮ Time View
Update : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ানঃ

দৈনিক মাআরিভ–এর কালো পাতায় মুদ্রিত হলো অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও মিশর বিষয়ক বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এলি ডেকেলের বিষাক্ত উচ্চারণ: “আল-আজহার মিশরের ভেতর থেকে ইসরায়েলবিরোধী ঘৃণার মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।” এই কথার প্রতিটি অক্ষর ভীরু সাম্রাজ্যের আতঙ্কে লেখা, কারণ যে মিনার সত্য উচ্চারণ করে, তার কণ্ঠরোধ করা দমনযন্ত্রের সবচেয়ে পুরনো ষড়যন্ত্র।

আজহার যদি গাজার মাটিতে শিশুদের রক্তকে গণহত্যা বলে ডাকে, আজহার যদি নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ায়, তবে তোমরা তাকে ঘৃণার মুখপাত্র বলবে। কিন্তু সত্যকে ঘৃণা বলা মানেই ইতিহাসের কাছে আত্মস্বীকৃতি দেওয়া—তোমরা ঘৃণারই নির্মাতা। তোমাদের ট্যাংক ধ্বংস করে ঘরবাড়ি, কিন্তু এক হাজার বছরের বিবেকের দেয়াল ভাঙতে পারে না। আল-আজহার সেই দেয়াল, যার প্রতিটি ইট রক্তের নয়, আলোর।

আরও পড়ুনঃ চন্দনাইশে খেজুর-তাল-ঔষধি গাছের চারা রোপন-বিতরণ ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রচারণা ক্যাম্পিং ১ আগস্ট শুক্রবার

মিশরের শাসকেরা এই ঘৃণার ভাষাকে নিজেদের ভাষা বানিয়ে নিয়েছে। তারা আল-আজহারের কণ্ঠকে চাপা দেওয়ার জন্য সেন্সরের শিকল পরিয়েছে, যেন গাজার কান্না কায়রোর আকাশে প্রতিধ্বনি না তোলে। আজকের মিশর সরকার আর জাতির অভিভাবক নয়; তারা এক নত সেতু, যা কায়রো থেকে তেল আবিবের দিকে ঝুঁকে আছে। তারা রাষ্ট্র নয়, তারা দালাল। তারা জনগণের ইতিহাস নয়, ইসরায়েলের ছায়া।

আজহারকে গলা টিপে ধরে তারা মনে করছে নিজেদের ক্ষমতা অটুট করছে। কিন্তু তারা জানে না—একটি জাতির আত্মাকে হত্যা করা মানে নিজের বুক ছিঁড়ে ফেলা। আজহারকে স্তব্ধ করলে মিশর নিজের অতীতকে হত্যা করবে, নিজের ভবিষ্যৎকে নির্বাসন দেবে। দাসত্বের ভাষা দিয়ে জাতিকে কখনো মুক্তির ইতিহাস লেখা যায় না।

এলি ডেকেলের সেই কথা—“ইসরায়েলবিরোধী ঘৃণার মুখপাত্র”—আজহার গর্বের সঙ্গে বুকের উপর ধারণ করবে, কারণ যে কণ্ঠ অন্যায়ের শত্রু হয়, সে-ই মানবতার বন্ধু। আর যে শাসক সেই কণ্ঠকে দমন করে, সে জনগণের নয়, সে তেল আবিবের গুলাম।

মাআরিভ ভুলে গেছে—আজহার পাথরের নয়; আজহার হলো আগুন। সেই আগুনে প্রথমে জ্বলে যাবে অত্যাচারের মুখোশ, তারপর নীরব দালালদের ইতিহাস। আজহার ঘৃণার মুখপাত্র নয়; আজহার সত্যের অগ্নিশিখা। আর সেই আগুনকে কেউ নেভাতে পারবে না—না ইসরায়েলের ট্যাংক, না দালাল শাসকের শিকল।

লেখক ও কলামিস্ট, শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category