নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
একবার সুনামগঞ্জে এই বাউল সাধককে একটি অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মাইকে ঘােষণা আসলাে, এবারে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকার সম্মাননার চেক। আব্দুল করিম বার্ধক্যে উপনীত। তিনি বােধহয় কানে ভুল শুনলেন, তার বিশ্বাস হচ্ছিল না।
তিনি পাশে বসে থাকা তার ছেলে জালালকে বললেন, “জালাল ইতা কিতা কয় ! তিন হাজার টাকা ! এ তাে অনেক টাকা ! এত টাকা দিয়া আমি কিতা করতাম ! জালাল আব্দুল করিমকে আস্তে করে বলল, “তিন হাজার নয়, টাকার অংকটা তিন লাখ !”
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীর পবায় কৃষকের ভিটা দখল করে পুকুর খনন অভিযোগ মিনারুল-রাজুর বিরুদ্ধে
শাহ আব্দুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব, তিনি বললেন, “তিন লাখ ? সর্বনাশ, অত টাকা ! এগুলা নিয়্যা আমরা কিতা করমু ? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালােবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল।” বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন ।
একজন মানুষ কতটা নির্লোভ ও সরল হতে পারেন এটি ছিল তার জ্বলন্ত প্রমাণ !
“সংগ্ৰীহত”