মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সিনিয়র সাংবাদিক স্টাফ রিপোটারঃ
সাংবাদিকতা একটি মহৎ ও দায়িত্বপূর্ণ পেশা। সমাজের অব্যবস্থা, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপরাধের বিরুদ্ধে তথ্য-ভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করে সাংবাদিকরা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকেন।
তবে এই পেশায় জড়িতদের জন্য রয়েছে নানান রকম হুমকি ও ঝুঁকি।বাংলাদেশসহ অনেক দেশে সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হলেও অধিকাংশ ঘটনায় বিচার হয় না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশকে দিন দিন আরও বিপদজনক করে তুলছে।
সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ধরন:
১. শারীরিক নির্যাতন: রিপোর্ট করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক মারধর, অপহরণ বা হত্যার শিকার হন।
২. মানসিক নির্যাতন ও হুমকি: ভয়ভীতি দেখানো, হুমকিমূলক ফোন, গোপন নজরদারি এবং সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়।
৩. আইনি হয়রানি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা আইনের অপপ্রয়োগ করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ মনি আক্তার, মৌলভী বাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে,অত্যান্ত যোগ্য ও সাহসী সাংবাদিক
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা ও চাপ বাড়ছে, যার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক দুর্বলতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি।
একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হলেও কোন সরকারই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশের সকল সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই পেশাগত সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন তার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।
এ অবস্থায় সাংবাদিক সমাজ আজ আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে