বিশেষ ফিচারঃ
শেষ পর্যন্ত নিজের জন্য বাঁচুন এক সময় আমি ভাবতাম, সবাই আমার মঙ্গল চায়। সবাই আমার আপন।কিন্তু সময় আমাকে শেখাল । সব মুখে হাসি থাকে না আন্তরিকতার জন্য, কিছু মুখ হাসে আপনার বিপর্যয় দেখে মজা পেতে।প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেতাম।
ভেতরটা কেমন যেন কুচকুচে হয়ে যেত।পেছনে ফিসফাস কথা, চোখে চোখ রেখে হালকা তাচ্ছিল্য সবকিছু গায়ে লাগত। ভাবতাম, কেন? আমি তো কারও ক্ষতি করিনি!তারপর বুঝলাম—সবাই নিজের মুখোশ পরে চলে।অনেকে অপেক্ষায় থাকে কখন আমি ভেঙে পড়ব।তারা তখন নীরবে মজা নেয়।
আর আমি? আমি কেবল কষ্ট পাই।সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই, আর নয়।নিজের সম্মান, নিজের মান—এবার নিজের হাতেই তুলে নেব।কারও কথায় আর কান দেব না কারও বিষাক্ত দৃষ্টিতে আর আঘাত পাব না।যারা বলেছিল “তুমি পারবে না”, তাদের কিছু বলিনিহাসি দিয়েছি।
কারণ তারা আমার গল্পের লেখক নয়।আমার গল্প আমি নিজেই লিখব।আমার জীবন, আমার বিশ্বাস, আমার আল্লাহই জানেন আমি কে।আমি শুধু ধৈর্য ধরেছি—নিজেকে সময় দিয়েছি।আমি শিখেছি—সব কিছুর উত্তর দিতে নেই।সব অপমানের প্রতিবাদ করতে নেই।চুপ থাকা দুর্বলতা নয়, ওটাই শক্তি।
আমি এখন এমন এক পথ বেছে নিয়েছি যেখানে পিছনে কথা হয়, আর আমি সামনে হাঁটি।আমি এখন আর কারও ব্যর্থ আনন্দের উৎস নই।আমি বাঁচি, নিজের জন্য বাঁচি।এক কাপ চায়ে ভালোবাসা খুঁজি, আল Qur an এর পৃষ্ঠায় শান্তি খুঁজি পুরনো ছবি দেখি, আকাশের নীলে হারিয়ে যাই।
আমি কৃতজ্ঞ সেই আঘাতের জন্য,যা আমায় ভেঙে দেয়নি, বরং গড়ে তুলেছে।আমি কৃতজ্ঞ সেই নিঃসঙ্গতার জন্য,যা আমায় শিখিয়েছে—নিজেকে ভালোবাসতে।আমি এখন জানি আমি কারো গল্প নই,আমি নিজের গল্প ।
সংগৃহীতঃ