শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

শিশু রাইফার মৃত্যু, চার চিকিৎসককে আসামি করে থানায় এজাহার

Reporter Name / ৩৩৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

 

চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে শিশু রাফিদা খান রাইফার মৃত্যু ঘটনায় এবার তার বাবা রুবেল খান থানায় মামলার আবেদন করেছেন। বুধবার বিকালে দৈনিক সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুবেল চার চিকিৎসককে আসামি করে চকবাজার থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। চার চিকিৎসক হলেন, শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরী, ম্যাক্স হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দেবাশীষ সেন গুপ্ত, শুভ্র দেব ও ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, আমরা এজাহারটি নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর মামলাটি গ্রহণ করব। এজাহারে রুবেল খান অভিযোগ করেন, চার চিকিৎসকের অবহেলা ও গাফিলতিতে রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় না হওয়া এবং ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও অতিরিক্ত মাত্রায় সেডিল প্রয়োগের কারণে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেছেন, অ্যান্টিবায়েটিকে আড়াই বছর বয়সী রাইফার শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলেও তা বারবার প্রয়োগ করা হয়েছিল। পরে ওষুধের আলামতও নষ্ট করে দেয়া হয়। রুবেল দাবি করেছেন, এসব অ্যান্টিবায়োটিক মেয়াদোত্তীর্ণ কি না, তা যাচাই করতে সংরক্ষণ করার কথা বলা হলেও চিকিৎসকরা তা সরিয়ে ফেলেন। এই সাংবাদিকের দাবি, আলামত নষ্টের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই ধরনের মৃত্যু সনদও দিয়েছিল। গলায় ব্যথা হওয়ায় রাইফাকে গত ২৮ জুন বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডা. বিধান রায়ের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল। ২৯ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। এদিকে রাইফার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিও এ ঘটনার তদন্ত করে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন কমিটি তাদের প্রতিবেদন কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের বিভিন্ন ত্রুটির কথা তুলে ধরে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. দেবাশীষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেবকে বরখাস্ত করে। তবে বিধান রায় তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারার কথা জানিয়ে বলে, এই চিকিৎসককে আর হাসপাতালে ডাকবেন না তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category