শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

মমিনপুর ইউপির ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর বেহাল দশা

Reporter Name / ৭ Time View
Update : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

 

মোঃ হামিদুর রহমান লিমন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ

 

রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। ভবনের এক কোনায় ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির ভ্যান পড়ে আছে। ইঞ্জিন, মোটর ও ব্যাটারি নেই। বই কোথায় আছে জানে না কেউ। এটিকে কুলক্ষণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনগণ। শিক্ষার্থীরা বলছে, এটি চরমতম ব্যর্থতা। জানা গেছে, এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি একটি ভ্যানে তৈরী করা হয়। বই নিয়ে ভ্যানটি নয়টি ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় যাওয়া হতো। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে পাঠ করে আবার জমা দিত। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনার ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির পরিচর্যা করলেও বর্তমান ইউপি চেয়ারমান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সময়ে দিনের পর দিন অবেহেলার আর অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে গেছে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটির অস্তিত্ব। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান লাইেব্ররীর অটোভ্যানটির ইঞ্জিন, মোটার কিংবা ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যায়নি। আর দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে মরিচা পড়ে অটোভ্যানটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর লাইব্রেরীর জন্য বরাদ্দকৃত বইগুলোর খোঁজ নেই।
সিরাজুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এখানে একটি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী করা হয়েছিল আমরা বাড়ীতে বসে বই নিতে পারতাম। আমাদের সন্তানরাও সেখান থেকে বই নিয়ে পড়তেন এবং উপকৃত হতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই লাইব্রেরীটা বন্ধ হয়ে গেছে এতে অনেকেই বই পড়া থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। তিনি আরো দাবী করে বলেন, ভ্রাম্যমান লাইব্রেটি আবার চালু করা হোক। দশম শ্রেণীর ছাত্রী তাবাচ্ছুম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী ছিল কিন্তু এখন নেই। আমরা লাইব্রেরীটি থাকাকালীন উপকৃত হয়েছিলাম। আমরা সেখান থেকে বই নিয়ে একাডেমী শিক্ষার বাইরেও সাধারণ জ্ঞানসহ বাইরের জ্ঞান অজর্ন করতে পারতাম। এখন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীটি বন্ধ হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কেন এই লাইব্রেরীটা বন্ধ হল আর বই গুলো কোথায় গেল সেটার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে বর্তমান মমিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজুল ইসলামের সাথে তার অফিসে গিয়ে এবং পরে তার নিজ ব্যবহৃত নম্বারে বার বার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category