শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

বিদ্যুৎ চুরির টাকায় বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি: প্রশ্নবিদ্ধ রফিকুলের সম্পদের উৎস!

✍️ শোয়েব হোসেনঃ  / ২৭ Time View
Update : রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

✍️ শোয়েব হোসেনঃ

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর মিটার রিডার পদ যেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের বহু কর্মকর্তা অবৈধ সংযোগ ও মিটার কারসাজির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন বিশাল অবৈধ সম্পদ। এমনই একজন আলোচিত নাম একেএম রফিকুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও আশপাশের এলাকায় বাণিজ্যিক ও বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আসছিলেন। এর বিনিময়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের ঘুষ। পাশাপাশি, মিটার টেম্পারিং ও বিল কারসাজির মাধ্যমে আবাসিক গ্রাহকদের কাছ থেকেও আদায় করেন বিপুল অর্থ।

২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সোয়েব হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলাম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন, যার সাথে তাঁর চাকরির আয় মেলেনা।

আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ীতে ৩০ লাখ টাকার হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রফিকুলের রয়েছে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে দুটি বহুতল ভবন (বাজারমূল্য আনুমানিক সাড়ে তিন কোটি টাকা), কাটাসুর ও লালমাটিয়ায় দুটি ফ্ল্যাট, নিজ এলাকায় কয়েক একর জমি, দুটি মোটরবাইক, দুটি মাইক্রোবাস ও একটি বন্ধকী ফ্ল্যাট।

বাড়ির কেয়ারটেকার আইয়ুব আলী জানান, “এই বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম। তবে কীভাবে এত সম্পদ করেছেন, আমি জানি না।”

জানা যায়, এর আগেও একাধিক সাংবাদিকের কাছে রফিকুল নিজের দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছিলেন, আবার প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন ও ঘুষের প্রস্তাব দেন। এমনকি এক সাংবাদিককে ডিজিএফআই দিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন বলে একটি ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সুনামগঞ্জে কবি পপি ভৌমিক”র প্রথম কাব্যগস্থ দর্পণে দেখা আলোর আকুতি প্রকাশনা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া স্থায়ী ঠিকানাও সন্দেহজনক। সহকর্মীদের দাবি, পাবনার সাথিয়া উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে রফিকুল নামে কেউ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।

ডিপিডিসি সূত্র জানায়, রফিকুল সম্প্রতি বকশিবাজার কার্যালয়ে বদলি হয়েছেন। সেখানে গিয়েও তাঁর দুর্নীতি থেমে নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকর্মী জানান, তিনি দুর্নীতিবাজ মিটার রিডারদের একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করেন এবং প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে তার সখ্য রয়েছে।

ডিপিডিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একাধিকবার তার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category