তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর রাজনীতির ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাদের অবদান ভুলে যাওয়া অপরাধের সামিল। তেমনি এক নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক কর্মী এবিএম আজরাফ টিপু, যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। ১৯৮৫ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তিনি। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
ওয়ান-ইলেভেনের অস্থির সময়ে, যখন রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস একে একে উচ্ছেদ করা হচ্ছিল, তখন বাজীর মোড়ের মার্কেট থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয় তুলে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক সেই কঠিন সময়েই আজরাফ টিপুর উপজেলা মোড়ের নিজ অফিসটি পরিণত হয় জেলা বিএনপির কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্রে। সেই অফিস থেকেই জেলা পর্যায়ের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে — যার প্রমাণ অগণিত নেতাকর্মীর স্মৃতিতে এখনো অম্লান।
আরও পড়ুনঃ হে মানুষ! তুমি তোমার প্রভুর দিকে কঠোর পরিশ্রম করতে করতে যাচ্ছ, অতঃপর তার সাথে সাক্ষাৎ করবে।”
তিনি নরসিংদী জেলা জাসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। টানা ১৮ বছর সেই দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। শুধু জেলা পর্যায়েই নয়, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদকসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সামসু ভাই ও মৃধা ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটিতে ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবেও। সর্বশেষ কাউন্সিলে তিনি বিএনপির প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
আজরাফ টিপু এমন একজন নেতা, যিনি কখনো পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী একজন প্রকৃত রাজপথের যোদ্ধা। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের আদর্শকে লালন করে পথ চলেন তিনি। এটাই তার রাজনৈতিক আত্মতৃপ্তি।
আরও পড়ুনঃ বারহাট্রায় সি আই এস এর উদ্যোগে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯৬’র শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলন পর্যন্ত রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন টিপু ভাই। বিএনপির রাজনীতিকে সাংগঠনিকভাবে সুসংহত করতে অসংখ্য নেতা তৈরির কারিগর তিনিই। আমি নিজেও, মোঃ তালাত মাহামুদ যার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি – তিনি আমার রাজনৈতিক পথের মূল ভিত্তি।
তিনি আমাদের গর্ব,আমার অহংকার । নরসিংদী সদরের চিনিশপুর ইউনিয়নের ( ৫)নং ওয়ার্ডের টাওয়াদীর বাসিন্দা ও দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু ষড়যন্ত্রকারীর কারণে আজ এই ত্যাগী নেতা দল থেকে কিছুটা দূরে সরে গেছেন। আমি জোরালোভাবে আহ্বান জানাই — বিএনপির হাইকমান্ড, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি এই দিকেও দিন।
আরও পড়ুনঃ সাভারে গণধর্ষণের পরে ১৩ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা, আটক ১
আজরাফ টিপুর মতো সংগঠকদের পুনরায় দলে সম্পৃক্ত করলে, বিএনপি আরও সুসংগঠিত হবে। দল মুক্ত হবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী চক্র থেকে। গড়ে উঠবে একটি মানবিক, আদর্শিক ও গণমুখী রাজনৈতিক শক্তি।
আজরাফ টিপু একজন নাম নয় — এক রাজনীতিক ইতিহাসের প্রতীক। তাকে দলে ফিরিয়ে এনে সম্মান জানানো মানেই বিএনপির ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো।