রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনমঃ
এনসিপি ইনসাফের ভিত্তিতে দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে চায় ময়মনসিংহে অবৈধ ব্যাটারি অটো তৈরির কারখানা, চুরির সংখ্যা বেড়েই চলেছে মিটফোর্ড এ  নৃশংসভাবে ইট দিয়ে হত্যার ঘটনায় ২ জন ও চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ১১ খন্ড করে গুম করার চেস্তার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার সহ   সাংবাদিকদের সাথে র‍্যাবের মতবিনিময় আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টস একাডেমির উদ্দোগ্যে জোড়া খাসি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট গাবতলীতে অনুষ্ঠিত *মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি:* *অগ্রগতি ও অন্তরায়* *জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লব: আইন, নীতি, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের আলোকে মনস্তাত্তিক এবং ভৌগোলিক বিশ্লেষণ* দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষ স্থানে কাগতিয়া মাদ্রাসা মিডফোর্ডে ব্যাবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা -কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি’র শিক্ষার্থীরা অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টাগ ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদেরকে ‘প্রশংসাপত্র’ প্রদান করলো ‘আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫৩ কর্মকর্তা ছাঁটাই সন্তান জন্ম দিতে এখনো আমেরিকায় আসছেন বাংলাদেশি দম্পতিরা গ্রিনকার্ডধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত আদেশ স্থগিত শিকাগো ম্যারাথন ও আয়রনম্যান নিউইয়র্কে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশি মিশু চাঁদপুরে খুতবা পছন্দ না হওয়ায় ইমামকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ! রাজনীতি, সন্ত্রাস ও নৈতিক পতন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা যেই লাউ সেই কদু *”যোগ্য বিচার চাই – মানবতা যেন হার না যায়!”* এডভোকেট এম হেলাল উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত সফর: মেহেন্দিগঞ্জের মানুষের পাশে মানবিক নেতার একদিন মিটফোর্ড খুন- খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিতে হবে, নয়তো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রদত্যাগ করার, দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো

জুলুমের আতুর ঘর এখন বাংলাদেশের আইন বিভাগ হাতিবান্ধা থানা ঘেরাও

রিপোর্টার নাম
পাবলিশ: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
মো:আহমুদুল হাসান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

মো:আহমুদুল হাসান লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

জুলুমের আতুর ঘর এখন বাংলাদেশের আইন বিভাগ হাতিবান্ধা থানা ঘেরাও। ঘেরাওয়ের পর মুক্তি পেলেন পুলিশের ভুল নামক সাজানো নাটকে আটক স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা।

থানা ঘেরাওয়ের পরে মুক্তি পেয়েছেন পুলিশের ভুলে আটক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজল নামক একজন বি এন পি নেতা, থানা কোর্ট প্রাঙ্গন যেন বিএনপির আতুর ঘর, আসামি কে থানায় নেওয়ার পরে লোকজন থানা ঘেরাও করে পরে প্রশাসন বলেন ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীর নামের সাথে মিল থাকায় রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে তুলে এনে থানা হাজতে রাখে দায়িত্ব হীন পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুনঃ মসজিদ সমাজ বাংলাদেশ এ সাপ্তাহিক কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে আলোচনা সভা হয়

গতো বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) সকালে স্থানীয় বি এন পির একাংশো নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করলে পুলিশ তাদের ভুল বুঝতে পারে বলে জানান পরক্ষনে ছেড়েও দেন।
কিন্তু দায়িত্ব হীন ওসি সঠিক তদন্ত না করে এভাবে বি এন পির একাংশের কথায় সাধারণ মানুষ দের কে হয়রানি করার কোনও মানে হয়না।

পুলিশের এমন উদাসীনতায় প্রতি নিয়তই জুলুমের শিকার হচ্ছে হাজারো নিরহ সৎ পরিবার। কাজল লালমনিরহাট উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাজল নামে একজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। সেই আসামীর পরবর্তীতে নামের সাথে মিল থাকায় তার ভোটার আইডি কার্ড চেক না করে, তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে বুধবার নিজ বাড়ি থেকে হয়রানি মুলক ধরে নিয়ে আসে থানা পুলিশ।

তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই এবং ওয়ারেন্ট ও নেই দাবি করলেও মুক্তি মেলেনি তার। তাঁর ওসির এস আই রা বলেন ওসি সাহেব ডাকছেন আসেন দেখা করি, বলে নিয়ে গিয়ে খারাপ ব্যাবহার করে আটক করেন সাধারণ মানুষ কে। পরে তারা এক পর্যায়ে আটক ব্যাক্তির পরিবারকে তলব করেণ, পুলিশ জানায়, ওয়ারেন্ট ভুক্ত কাজলকে না পেলে এ কাজলকে ছাড়া হবে না বলে কাছলের পরিবার কে হুমকিদেন।

বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আরেক অংশের নেতাকর্মীরা ও তাঁর পরিবার সহ থানা ঘেরাও করেন, বিনা অপরাধে আটক স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কাজলের মুক্তির দাবি করেন। এ সময় তারা ওসি মাহমুদুন নবীর অপসরনের জোড়ালো দাবি তুলেন।

তারা বলেন এ অসি আওয়ামিলীগয়ের এজেন্ডা, তারা আরো বলেন এ ওসি লালমনিরহাট জেলা ছাড়েনা তার শুরু লালমনিরহাট সদর থানা থেকে, সে এখানেও আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর বিগত সময় বিভিন্ন কথা বলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে, সে আওয়ামী লীগের মদতপ্রাপ্ত সে ১০-১২ বছর থেকে লালমনির জেলা ছাড়ে না, যে ভাবেই হোক এ জেলা তেই থাকে।

এই সেই বহুরুপী ওসি, আজ স্থানীয় নেতকর্মীদের তোপের মুখে পরে বলেন, পুলিশ তাদের ভুল বুঝতে পেয়েছে,তাঁরা আটক করা কাজলকে থানা হাজত থেকে সসরমানে মুক্তি দিয়ে দিয়েছে, এরপর ভুক্তভোগী স্থানীয় সুশীল সমাজের জনগন সাধারণ জনগন,এ ওসি’র অবসরনের দাবি তুলে বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করেন।

কাজলের স্ত্রী নাসরিন ফারহানা বলেন, আমার স্বামীকে ইচ্ছা করে ওসি টাকা খেয়ে পরিকল্পনা মাফিক ধরে নিয়ে এসে থানায় রাতভর আটক করে রাখে। এ নিয়ে আমি কথা বললে ওসি আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। আরো অনেক বাজে কথা বলেন যা আমি একজন মায়ের জাত হিসাবে আর বলতে চাইনা, আমাকে বলেন ওই আসামীকে ধরে নিয়ে আসেন তারপর আপনার স্বামীকে ছাড়া হবে।

আকার ইঙ্গিতে নানারকম ভঙ্গিমা করেন আমি এই ওসির বিচার চাই ও অপসারণ চাই, এদের মতো আইনের রক্ষক দের, ভক্ষণের কারণে আজ মানুষ আইন বিভাগের প্রতি আস্থা হারায় ফেলছে, বিচার বিভাগের প্রতি অনীহা যোগাচ্ছে মনে,সাধারণ মানুষ কঠিনতম জুলুমের শিকার হচ্ছে দেশ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মানুষ কেনও আইন হাতে তুলে নিচ্ছে।

রাতভর থানা হাজতে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজল বলেন, আমি বার বার বলছি আমার নামে কোনও মামলা নাই। এরপরেও তারা আমাকে ধরে নিয়ে এসে থানার জেল হাজতে রাত ভর আটক করে রাখে। ওসি এর আগে ও মিথ্যা মামলায় অনেক মানুষকে হয়রানি করেছেন,বলে আরো অভিযোগ আছে, এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি আমাকে ধরে নিয়ে আসে, রাতভর হাজতে আটকে রাখেন। আমি এর সঠিক বিচার ও ওসির অপসারণ চাই।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, নামের সাথে মিল থাকায় ভূলবসত সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ধরে আনা হয়েছিলো। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নামের সাথে মিল থাকায় এটি নিছক একটি ভুল।

এটা তার ব্যাবসা সে বিভিন্ন সময় এমন সাধারণ মানুষ কে রাস্তা থেকে নিয়ে গিয়ে টাকা দাবি করেন না দিলে বিভিন্ন পেন্ডিং মামলায় চালান করেন,আর টাকা পেলে ঠাটিফোর ৩৪ধারা,দেয় বলে অভিযোগ আছে।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। নাম একই হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তেমন কিছু না। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার কারণ নেই। বিষয়টি সমাধান হয়েছে। কিন্তু সুশীল সমাজের জনগন বলেন বর্তমান বাংলাদেশের ৬৫ ভাগ মানুষ রাজনীতি থেকে বিরত, তারা কোনও রাজনীতি করে না,মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বৃত্ত সাধারণ জনগণ, যখন প্রশাসন এই শ্রেণীর লোকজনের সাথে জুলুম করে তখন তারা সে জুলুমের কঠিনতম শিকার হয়, কত পরিবার কত যুবক তাদের এই রসাতলের শিকার হয়ে জীবনকে দিয়েছে ধ্বংস করে, তাঁরা, কতো পরিবার কে করেছে নিঃস্ব।

বিক্ষুপ্ত জনতা ও সুশীল সমাজের জনগন সেনা বাহীনিকে ম্যাজিস্ট্রডি পাওয়ার দিয়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব দিতে দাবি তুলেন অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধান, ডক্টর মোঃ ইউনুস স্যারের কাছে। অনুরোধ করেন বর্তমান বাংলাদেশের এ চলমান জুলুম যদি চলমান থাকে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সেনা শাসন দেওয়া হোক।দেশের সুশীল সমাজের জনগণ মনে করছেন, দেশের আইন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই মুহূর্তে দেশে সেনা শাসনের প্রয়োজন।


এই বিভাগের আরও খবর