জামাল ভুইয়াঃ
জুলাই বিপ্লবের আবশ্যিকতা:- পর্ব ০৬
বিষয়:- ইসলামের অবমাননা রোধকল্পে জুলাই বিপ্লবের আবশ্যিকতা।
পাঠক, আমি ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি যে, আওয়ামী লীগ হল হিন্দুত্ববাদের ধারক বাহক। হিন্দুত্ববাদ আর হিন্দু এক নয় । হিন্দুত্ববাদ হল মুসলমানদের চিরতরে বিনাশ করতে হিন্দুদের একটি অংশের মনোভাব। এই অ্শটি এখন ভারতের ক্ষমতাসীন। অবশ্য ১৯৪৭ সালের পর থেকে ভারতীয় সব সরকার কমবেশি হিন্দুত্ববাদী ছিল। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় ক্গ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও তারা হিন্দুত্ববাদীদের সহযোগী শক্তি ছিল।
২০০৯ সালে বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদী শক্তি ক্ষমতায় আসার পর ইসলাম অবমাননার কাজ শুরু হয় ।২০১৩ সালে এর চরম আকার ধারণ করে। ২০১৩ সালে শাহবাগকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদী শক্তির ধর্ম অবমাননার বিষয়টি চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয় । ২০১৩ সালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে হিন্দুত্ববাদী শক্তি যে ধরনের কটুক্তি করেছে তা বলার ভাষা নেই।
এই হিন্দুত্ববাদী শক্তি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ খোলে ইসলামকে অবমাননা শুরু করে। এছাড়া এই হিন্দুত্ববাদী শক্তির এজেন্ট বিভিন্ন গনমাধ্যম ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের মদদ দাতা ছিল। এই হিন্দুত্ববাদী গনমাধ্যমে গুলো বিভিন্ন সময়ে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে।
আরও পড়ুনঃ *”সূরা আল-মায়েদা: একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার নীতিমালা”*
২০০৭ সালে কেয়ার টেকার সরকার এর সময় একটি হিন্দুত্ববাদী গনমাধ্যম ইসলামের অবমাননা করলে মাফ চেয়ে পার পায় । কিন্তু হিন্দুত্ববাদী শক্তি হাসিনার আমলে তারা মুসলমানদের ধর্মীয় নেতাদের চরিত্র হননে কোন কমতি করে নি ।
আওয়ামী লীগ সব সময় এদেশের মুসলমানদের ধোঁকা দিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক গ্রুপটি সাধু সেজে অন্যদের ইসলাম ধর্মের অবমাননার সুযোগ দেয় ।
তারিখ –১৮.০৭.২০২৫ ইং
চলমান
মোঃ মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া
চেয়ারম্যান
প্যান ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ