মোঃ মিঠু মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের জামানতের টাকা উত্তোলনে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে নিয়োজিত ৪৩ জন ডিলারের মধ্যে মাত্র দুইজনকে জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হলেও বাকিদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিলারের জমা রাখা ২০ হাজার টাকা দীর্ঘদিন ব্যাংকে থাকলেও ফেরত পেতে গড়িমসি করছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়।
ভুক্তভোগী ডিলারদের অভিযোগ—উপ-খাদ্য পরিদর্শক মোঃ জয়নুল আবেদীন খন্দকার প্রতি ডিলারের নিকট থেকে চার হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন। যারা তার দাবিকৃত টাকা দিচ্ছেন, তাদের টাকার কাগজপত্র ঠিক করে দিচ্ছেন এবং উত্তোলনের সুযোগ করে দিচ্ছেন। কিন্তু যারা টাকা দিচ্ছেন না, তাদের টোকেন আটকে রেখে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ আরও রয়েছে, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে জমা দেওয়ার টোকেন নিজেই সংগ্রহ করে রাখছেন ওই কর্মকর্তা। পরবর্তীতে দাবিকৃত টাকা না দিলে ফেরত দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুনঃ ভারত কর্তৃক চিলমারীর সাত জেলে ও আরাকান আর্মি কর্তৃক অপহৃতজেলের উদ্ধারের দাবি
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “ব্যাংকে কিছু খরচ হয়।” তবে জামানতের টাকা দীর্ঘদিন ব্যাংকে জমা থাকার পরও কেন সুদ-লভ্যাংশসহ ফেরত দেওয়া হচ্ছে না—এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
অভিযোগকারী ডিলাররা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং ঘুষখোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।