শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
Headline :
বাংলাদেশ জোট মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ন্যাশনাল ইউনিটি কাউন্সিল(এনইউসি) এর মহাসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মনের বাণী: মানবতার মূর্ত প্রতীক: *অধ্যাপক ড. আলহাজ্ব মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদী এক অনন্য সমন্বয়* -ড. এ আর জাফরী বাংলাদেশ সর্বজনীন জোটে মূল চিন্তাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজহার বগুড়া গাবতলী স্টেশনের রেলওয়ে কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় – দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্তে বাংলাদেশ ময়মনসিংহে পলাতক আসামী গেপ্ততার করেছে র‍্যাব ১৪ যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বিএনপিরভারপ্রাপ্তচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল

গাইবান্ধায় নিয়োগ জালিয়াতি প্রমাণের আড়াই বছরেও ৪ শিক্ষক বহাল তবিয়তে!

মোঃ মিঠু মিয়া,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ  / ১২ Time View
Update : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

মোঃ মিঠু মিয়া,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধায় দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক/শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার দীর্ঘ আড়াই বছর পার হলেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে সরকারি চাকরি করে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি জনৈক সাংবাদিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর উত্তরপাড়া কমিউনিটি বিদ্যালয় (বর্তমানে সরকারিকৃত) এর শিক্ষক ফরহাদ হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌসী এবং বৌলেরপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বর্তমানে সরকারিকৃত) এর সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ সাথী আক্তার ও শাহানারা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ এনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেন। তদন্তে জানা যায়, স্বাক্ষর ও সীল যাচাইয়ে অনিয়ম, একই ব্যক্তির দ্বৈত স্বাক্ষর, ঠিকানা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘনসহ নানা জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়।

বিশেষ করে, সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ সাথী আক্তারের সার্ভিস বুক ও তথ্য ফরমে এলোমেলো স্বাক্ষর ও সীল দেখা যায়, যা অফিসিয়াল নথির সাথে মেলেনি। অন্যদিকে শাহানারা খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হয়েও গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, যা নিয়োগ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আরও পড়ুনঃ মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসীতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

তদন্তে আরও উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২০১৫ সালে যে সংযুক্তি আদেশ জারি করেন, তাতেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরে ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে, যা জালিয়াতির সন্দেহকে আরও প্রবল করে।

চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেই, রহস্যজনক নীরবতা, তদন্তে নিয়োগ জালিয়াতি সনাক্ত হলেও দীর্ঘ আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন – “তদন্তের পরও কেন অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন? প্রশাসনের নীরবতা কার স্বার্থে?”

তারা জরুরি ভিত্তিতে উক্ত চার শিক্ষক/শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category