আওরঙ্গজেব কামাল, বিশেষ প্রতিনিধি:
খুলনা জেলার আড়োংঘাটা প্রেস ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও মূল হোতা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তার বয়স সাংবাদিকরা আতঙ্কে রয়েছে।এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বাদী হয়ে ২৫ জুন একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৩ ।
এ বিষয়ে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, দুই লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসক্লাব ভাংচুর, লুটপাট ও গুরুত্বপূর্ণ কানগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসী সুজন সরকারের নেতৃত্বে রসুল ফকির, ওসমান মোল্লা, সেলিম মোড়ল, দিপু সরকার , মৃন্ময় মন্ডল, সবুজ শেখ, সবুজ সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদা দাবি করে সুজন সরকার। তাকে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী,মাদক ব্যবসায়ী,নারী ধর্ষনকারি, ৫ তারিখের পরে ভূয়া মামলা দিয়ে ১২ নং রংপুর ইউনিয়নবাসির কিছু নিরীহ মানুষের নাম দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, ১২ নং রংপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রব খান রাব্বি কে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা আদায় করেছে,
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ এর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে না দিলে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ১৫ ভাগ করবে, পরিমাল রায়ের কাছে চাঁদা দাবি করে, কমোলেশ মিস্ত্রির কাছে চাঁদা দাবি করে, দীনেশ মিস্ত্রির কাছে চাঁদা দাবি করে, পম্পি বিশ্বাসের কাছে চাঁদা দাবি করে, ভ্যান চালকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে, একজন ভিক্ষুক মহিলা খুকুমণি তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে, সুজন সরকার প্রেস ক্লাবের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভিতি ও প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দেয়।
সুজন সরকার এর আগে আওয়ামী লীগের ছত্র-ছায়ায় তান্ডব চালালেও এখন খোলশ পাল্টেছে। মূলত এরা কোন দলের নয়। বিভিন্ন সময় দেখা যায় ইলেকট্রিক মিডিয়ায় ও পত্রিকায় সুজন সরকারের নামে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজী,মারামারি, মাদকসহ একাধিক মামলার সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এমত অবস্থায় প্রেসক্লাবের সকল সদস্যরা নিরাপাত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।আজ দুপুর ৩ ঘটিকায় সময় সুজন সহ মুখ বাদা ৮/১০ জন গালিগালাজ করে বলে মামলা তুলে নিবি।
আরও পড়ুনঃ রেজিস্ট্রির সময় দলিলে যা বারবার চেক করবেন…..
আমাকে আরও বলে তুই মামলা করেছিস পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবি, র্যাব কোনো বাহিনী , আমি সুজন সহ কোনো আসামিদের বাড়ি যাওয়ার সাহস পাইনি, আরও বলেন এমামলায় আমাদের কিছু হবে না কোটে যাবো আর জামিন নিয়ে চলে আসবো,তার পর তুই সহ তোর সাক্ষি ভালো দেখে নিব,আরও বলে বাঁচতে চাই লে মামলা তোল ৩ বার বলে হাসতে হাসতে চলে যায়।
এছাড়া গত পাঁচ আগস্ট এর পর শীর্ষ সন্ত্রাসী হোসেন ঢালী ও সন্ত্রাসী শাহিনের হয়ে সুজন সরকার আশে পাশের এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, মানুষকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে জমি দখল এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। প্রেসক্লাবের সদস্যরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আড়ংঘাটা থানার ওসি মোঃ তুহিনুজ্জামান বলেন, একটি মামলা হয়েছে যার নং ৩, তারিখ ২৫ জুন ২০২৫। মামলায় আসামি করা হয়েছে আট জন কে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।